Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আগামীকাল থেকে বিশ্ব ইজতেমা শুরু


১১ জানুয়ারি ২০১৮ ২১:৪০

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

আগামীকাল থেকে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে শুরু হচ্ছে ৫৩তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। শুক্রবার ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের মধ্যদিয়ে ইজতেমার প্রথম পর্বের শুরু হবে। রোববার জোহরের নামাজের পর আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা মুসল্লিরা দুই ভাগে ভাগ হয়ে ইজতেমায় অংশ নেবেন। এবারের ইজতেমার প্রথম পর্ব ১২ জানুয়ারি শুরু হয়ে ১৪ জানুয়ারিতে শেষ হবে এবং দ্বিতীয় পর্ব ১৯ জানুয়ারি শুরু হয়ে ২১ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হবে।

হাজারও মুসল্লির পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে ইজতেমা প্রাঙ্গন। সুশৃঙ্খলভাবে ইজতেমা শেষ করার জন্য নেওয়া হয়েছে সাত স্তরের নিরাপত্তা। এ ছাড়াও দুই পর্বের আখেরি মোনাজাতের সময় হেলিকপ্টার টহল দেবে ইজতেমার মাঠে।

ইতোমধ্যে ইজতেমার সব আয়োজন শেষ হয়েছে। ১৬০ একর জমির ওপর তৈরি করা হয়েছে বিশাল প্যান্ডেল। খুঁটিতে নাম্বার ও খিত্তা নাম্বার বসানো হয়েছে। বিদেশি, জুড়নেওয়ালি জামায়াত, তাশকিল, মাস্তুরাত কামরাও প্রস্তুত।

মুসল্লিদের সুষ্ঠুভাবে বয়ান শোনার জন্য পুরো মাঠে প্রতিধ্বনিরোধক ২ শ ছাতা ও চার শ মাইক লাগানো হয়েছে।

এ ছাড়াও সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের সদস্যরা ৭টি ভাসমান পন্টুন নির্মাণ করেছে।

ইজতেমায় মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের আসা-যাওয়ার বিষয়ে সতর্কতাসহ সাত স্তরের নিরাপ্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। তাদের ওপর রাখা হবে বিশেষ নজরদারি।

ইজতেমায় মুসল্লিদের অবস্থান:  

প্রথম পর্বে ইজতেমায় আসা মুসল্লিরা যেসব খিত্তায় থাকবেন তা হল- ঢাকার জন্য (খিত্তা নং ১-৮, ১৬, ১৮, ২০ ও ২১), পঞ্চগড় (৯), নীলফামারী (১০), শেরপুর (১১), নারায়ণগঞ্জ (১২ ও ১৯), গাইবান্ধা (১৩), নাটোর (১৪), মাদারীপুর (১৫), নড়াইল (১৭), লক্ষ্মীপুর (২২ ও ২৩), ঝালকাঠি (২৪), ভোলা (২৫ ও ২৬), মাগুরা (২৭) ও পটুয়াখালীর মুসল্লিরা ২৮ নং খিত্তায় থাকবেন।

বিজ্ঞাপন

আইন শৃঙ্খলা:

ভারতের মাওলানা সাদের আগমনকে কেন্দ্র করে বিশ্ব ইজতেমার মাঠে কিছুটা উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এর ফলে ইজতেমার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। গাজীপুরের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানিয়েছেন, ইজতেমার মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাত স্তরের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থায় নিয়েজিত থাকবে পুলিশের ৭ হাজার সদস্য। নিরাপত্তার জন্য ১৫টি ওয়াচ টাওয়ার, ৪১ সিসি ক্যামেরা, নৌ টহল, আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেকটর দিয়ে তল্লাশি, বোম ডিস্পোজাল টিম ও ভিডিও ধারণ করা হবে। প্রতিটি খিত্তায় জেলা পুলিশের ৬ সদস্য সাদা পোশাকে নিয়োজিত থাকবে। এ ছাড়াও র‌্যাবের আড়াই হাজার সদস্য ৯টি ওয়াচ টাওয়ারে ও ১৪টি গাড়িসহ ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদেরা সতর্কাবস্থায় থাকবে।

যোগাযোগ ব্যবস্থা

ইজতেমার আগের দিন থেকে ৪টি বিশেষ ট্রেন ছাড়াও ‘আখেরি মোনাজাতের দিন ঢাকা-টঙ্গী, টঙ্গী-ঢাকা-আখাউড়া-ময়মনসিংহ-ইশ্বরদীতে ১৫টি ট্রেন চলাচল করবে। ইজতেমার মুসল্লিদের জন্য ট্রেনে ওজু ও নামাজ পড়াসহ সব ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এ ছাড়া বিআরটিসির পক্ষ থেকে আরও প্রায় ১০০টি বাস দেওয়া হয়েছে।

চিকিৎসা সেবা

টঙ্গী ৫০ শয্যাবিশিষ্ট সরকারি হাসপাতালকে ইজতেমার জন্য অস্থায়ীভাবে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। মুসল্লিদের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ন্ত্রণের জন্য ১টি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ, ১টি হৃদরোগ ইউনিট, ১টি বক্ষব্যাধি/অ্যাজমা ইউনিট, ১টি ট্রমা (অর্থোপেডিক) ইউনিট, ১টি বার্ন ইউনিট, ১২টি স্যানিটেশন টিম এবং ১২টি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন, টঙ্গী সরকারি হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মাহবুবুর রহমান।

বিজ্ঞাপন

বিদ্যুৎ সরবরাহ

ইজতেমার মাঠ ও আশপাশের এলাকায় সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। হঠাৎ ট্রান্সফরমার বিকল হয়ে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে বদল করা যায় এ কারনে ৫টি ট্রলি ট্রান্সফরমার রাখা হয়েছে। এ ছাড়া অতিরিক্ত ব্যবস্থা হিসেবে চারটি জেনারেটর সব সময় প্রস্তুত থাকবে।

এ ছাড়া ইজতেমা মাঠের প্রস্তুতির কাজ ১০০ ভাগ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইজতেমা আয়োজক কমিটি।

সারাবাংলা/এমআই

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

ঢাকার পথে প্রধান উপদেষ্টা
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:৩৩

সম্পর্কিত খবর