পানি ব্যবস্থাপনায় নেদারল্যান্ডসের সহযোগিতা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী
১৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৩:১৮
।। সারাবাংলা ডেস্ক ।।
পানি ব্যবস্থাপনা ও নদীর ভাঙনরোধ, বিশেষ করে ‘ডেল্টা পরিকল্পনা-২১০০’ বাস্তবায়নে নেদারল্যান্ডসের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ঢাকায় নেদারল্যন্ডসের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত হেনড্রিকাস জি জে হ্যারি সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাৎ করতে গেলে শেখ হাসিনা এ সহযোগিতা চান।
পরে এক ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, আমরা পানি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ও নদীর ভাঙ্গঙরোধে এবং একইসঙ্গে ডেল্টা পরিকল্পনা-২১০০ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নেদারল্যান্ডসের সহযোগিতা কামনা করছি।
ইহসানুল করিম বলেন, ‘ডেল্টা পরিকল্পনা-২১০০’ বাস্তবায়নে সহযোগিতার জন্য প্রধানমন্ত্রী নেদারল্যান্ডসের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
নবনিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত এ সময় ‘ডেল্টা পরিকল্পনা-২১০০’ বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে তার সরকারের সবরকমের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়ে বলেন, দুই দেশের দীর্ঘমেয়াদি একই ধরনের একটি পরিকল্পনা রয়েছে।
রাষ্ট্রদূত হ্যারি মিয়ানমারকে বাংলাদেশ থেকে তাদের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে ফেরত নেওয়ার বিষয়ে আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্ত্যুচ্যুত রোহিঙ্গা নাগরিকদের বাংলাদেশ থেকে ফেরত নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ অব্যাহত রাখতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গাদের বসবাসের জন্য মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ঘর-বাড়ি নির্মাণ করে দিচ্ছে চীন ও ভারত। অন্যদিকে জাপানও এ বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।
নবনিযুক্ত নেদারল্যান্ডসেরর রাষ্ট্রদূতকে ঢাকায় স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশটির সহযোগিতার কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।
দেশব্যাপী একশটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরে তিনি বলেন, সেখানে শিল্প স্থাপনের জন্য জমি বরাদ্দ করা হচ্ছে এবং সরকার সেখানে বিদেশি বিনিয়োগকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নকে এ সময় ‘চমকপ্রদ’ আখ্যায়িত করে রাষ্ট্রদূত এর ভূয়সী প্রশংসাও করেন।
কৃষিক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্যের উচ্ছসিত প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত বলেন, এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের আরও উন্নত করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
শেখ হাসিনা আঞ্চলিক যোগাযোগ সম্প্রসারণে সরকারের বিবিআইএন (বাংলাদেশ, ভূটান, ভারত, নেপাল) ও বিসিআইএম-ইসি (বাংলাদেশ, চীন, ভারত, মিয়ানমার- অর্থনৈতিক করিডোর) উদ্যোগ তুলে ধরে বলেন, এর ফলে এই অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগ আরো বেগবান হবে।
নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত সাক্ষাতে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করতে কাজ করে যাওয়ার আশাবাদ জানান। এসময় তিনি নেদারল্যান্ডসের রানি ম্যাক্সিমার একটি চিঠিও প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো.নজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব সাজ্জাদুল হাসান এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বাসস।
সারাবাংলা/টিআর