সোমালিয়ায় ২ দিনে ৬২ ‘জঙ্গি’ হত্যার দাবি যুক্তরাষ্ট্রের
১৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৬:৪০
।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।
সোমালিয়াতে দুই দিনে ছয়টি বিমান হামলায় ইসলামিস্ট গ্রুপ আল-শাবাবের ৬২ ‘জঙ্গি’কে হত্যার দাবি করেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। এক বার্তায় সংস্থাটি জানিয়েছে, গত শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) চারটি বিমান হামলায় আল-শাবাবের ৩২ জন ও রোববার (১৬ ডিসেম্বর) আরও দুই বিমান হামলায় ২৮ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এসব হামলা নিয়ে আল-শাবাবের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
বিবিসির খবরে বলা হয়, ২০১৭ সালের নভেম্বরের মাসের পর এটিই সোমালিয়ায় সবচেয়ে প্রাণঘাতী বিমান হামলা। ওই সময় ১০০ ‘জঙ্গি’কে হত্যার দাবি করেছিল মার্কিন সামরিক বাহিনী। আর ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই সোমালিয়ায় বিমান হামলায় মৃত্যুর ঘটনা দ্রুত বাড়ছে।
ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজমের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সোমালিয়ায় বিমান হামলায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে কমপক্ষে ৪০০ জনে। এর আগের ১০ বছরেও দেশটিতে এতসংখ্যক হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। শুধু তাই নয়, গত শনি ও রোববারের ছয়টি বিমান হামলাসহ এ বছরে সোমালিয়ায় ৪০টিরও বেশি বিমান হামলা চালানো হয়েছে। ২০১৭ সালে এই সংখ্যা ছিল ৩৫টি। সোমালিয়ার প্রতিবেশী জিবুতিতে শক্তিশালী মার্কিন ঘাঁটি থেকেই মূলত এসব হামলা চালানো হয়ে থাকে।
এর আগে, ১৯৯৩ সালে সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসুতে স্থানীয়দের সংঘর্ষে মার্কিন স্পেশাল ফোর্সের ১৮ সদস্য প্রাণ হারান। এরপর থেকেই মূলত সোমালিয়ায় হস্তক্ষেপের বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করে আসছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্টরা। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই সেই রীতি ভেঙে দেন। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর মার্চেই তিনি সোমালিয়ায় হামলা চালানোর কর্তৃত্ব তিনি দিয়ে দেন মার্কিন সেনাবাহিনীকে।
এদিকে, সোমালিয়ায় বিমান হামলা চালানো প্রসঙ্গে মার্কিন সেনাবাহিনী বলছে, সোমালিয়ান সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করেই এসব হামলা চালানো হয়েছে এবং এসব হামলায় কোনো বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারাননি।
মার্কিন সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ওই অঞ্চলটিকে আল-শাবাব নিজেদের অভয়ারণ্য মনে করছে। সেখান থেকে তারা নিজেদের সক্ষমতা বাড়িয়ে সোমালিয়ার নিরস্ত্র জনগণের ওপর হামলার পরিকল্পনা করে। সোমালি ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের পাশাপাশি আমরাও আল-শাবাবকে সাধারণ জনগণের ওপর হামলার ছক থেকে ঠেকাতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সারাবাংলা/টিআর