Wednesday 11 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আ.লীগের ভুল-ভ্রান্তি ক্ষমাসুন্দর চোখে দেখার অনুরোধ


১৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ১১:১৪ | আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ১২:২৯
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা : তার নিজের কিংবা দলের কোনো সদস্যরা গত ১০ বছরে কাজ করার সময় কোনো ভুল করলে তা ক্ষমার চোখে দেখতে অনুরোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আওয়ামী লীগের ইশতেহার ঘোষণা শেষে একথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘মানুষ মাত্রই ভুল হয়। কাজ করতে গিয়ে আমার বা আমার সহকর্মীদেরও ভুল-ভ্রান্তি হয়ে থাকতে পারে। আমি নিজের এবং দলের পক্ষ থেকে আমাদের ভুল-ভ্রান্তিগুলো ক্ষমাসুন্দর চোখে দেখার জন্য দেশবাসীর প্রতি সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাচ্ছি।’

অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে আরও সুন্দর ভবিষ্যৎ নির্মাণ করবেন বলে ইশতেহারে প্রতিশ্রুতি দেন প্রধানমন্ত্রী। জাতির পিতার কাঙ্খিত ক্ষুধা, দারিদ্র, নিরক্ষরতামুক্ত অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকারও করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

সরকারি চাকরিতে মেধা ও যোগ্যতা বিবেচনার অঙ্গীকার আ.লীগের

আগামী ২০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আবার আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চিত করতে দেশবাসীর প্রতি আকুল আবেদন জানান দলটির সভাপতি। বলেন, ‘আপনারা নৌকায় ভোট দিন, আমরা আপনাদের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি দেব।’

২০১৮ সালের ডিসেম্বরের ৩০ তারিখে ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে বাঙালি জাতি স্বাধীনতার প্রতীক নৌকার বিজয় ছিনিয়ে আনবে বলে নিজের বিশ্বাসের কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত, ইনশাআল্লাহ।’

ব্লু-ইকোনমি অগ্রাধিকার পেয়েছে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে

উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনীতির সংশ্লেষণের লক্ষ্যে শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি শিল্পোন্নত দেশ হিসাবে গড়ে অঙ্গীকার থাকছে আওয়ামী লীগের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহারে। এই ইশতেহারের মূল স্লোগান রাখা হয়েছে ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’।

সরকারের দুই মেয়াদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহারেও এ সম্পর্কিত বিভিন্ন অঙ্গীকার যুক্ত হয়েছে। এবারের ইশতেহারে লক্ষ্য ও পরিকল্পনা হিসেবে দ্রুত শিল্পনায়নের লক্ষ্যে ব্যবস্থাপনার দক্ষতা বৃদ্ধি, পুঁজিবাজারের দ্রুত বিকাশ, আইনশৃঙ্খলা ঘুষ, দুর্নীতি, প্রশাসনিক জটিলতা ও রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতামুক্ত, বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ, প্রতিযোগিতামূলক বাজার ব্যবস্থা, উদ্ভাবনী প্রযুক্তি, ভৌত অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা, উদ্যোক্তা শ্রেণিকে আকৃষ্ট করতে সক্ষম এবং অভ্যন্তরীণ বাজার সম্প্রসারণ প্রভৃতি নীতিমালাকে রাখা হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়নে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করা হয়েছে ইশতেহারে।

সারাবাংলা/এসএমএন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর