Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

প্রার্থিতা নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়নে ব্যস্ত ইসি


১৯ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৬:১৬

ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

ঢাকা: আপিলে আদালতের নির্দেশনায় প্রার্থিতা ফিরে পাওয়াদের যথাসময়ে ব্যালট পেপার ছাপানো নিয়ে চাপের মধ্যে রয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, ‘মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ থেকে বিভিন্ন নির্দেশনা আসছে। আমরা এগুলো নিয়ে একটু উদ্বিগ্ন এবং ব্যতিব্যস্ত।’

বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ইএমএস), ক্যান্ডিডেট ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিআইএমএস) এবং রেজাল্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আরএমএস) সংক্রান্ত প্রশিক্ষণে বুধবার তিনি এসব কথা বলেন।

ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, `এখন পর্যন্ত অনেক আসনে আমাদের প্রার্থিতা চূড়ান্ত হয়নি। আরও কিছু পরিবর্তন হবে। যেখানে প্রার্থী একদম চূড়ান্ত হয়ে গেছে সেগুলোর ব্যালট ছাপিয়ে ফেলব। কারণ, আমরা চাই, নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে ব্যালট মাঠে পাঠাতে। যেখানে সমস্যা আছে সেখানে ব্যালট আমরা একটু পরে ছাপাবো। মহামান্য হাইকোর্ট থেকে নির্দেশনা আসলে আমাদেরকে সেইভাবে প্রার্থীদের তালিকায় যুক্ত করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘হিরো আলম পর্যন্ত হাইকোর্ট দেখায়। সেও বলে যে, নির্বাচন কমিশনকে আমরা হাইকোর্ট দেখিয়ে ছাড়ছি। বোঝেন অবস্থা। সে তো স্বতন্ত্র প্রার্থী। সে বগুড়া থেকে দাঁড়িয়েছেন। প্রথমে রিটার্নিং কর্মকর্তা তার মনোনয়ন বাতিল করেছেন। তারপর আমাদের কাছে আপিল করেছেন তিনি। মাননীয় কমিশন তার আপিল বাতিল করেছেন। তারপর হাইকোর্টে গিয়ে তারটা ক্লিয়ার করে আসছেন। তারপর আগের তালিকার সঙ্গে তার (হিরো আলম) প্রতীক সংযুক্ত করে আমাদের কাছে পাঠিয়েছেন। মহামান্য হাইকোর্ট থেকে বিভিন্ন নির্দেশনা আসছে। আমরা এগুলো নিয়ে একটু উদ্বিগ্ন এবং ব্যস্ত।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরো বলেন, ৩শ আসনে নির্বাচন করা একটা বিশাল ব্যাপার। দেশে যদি রাজনৈতিক সু-পরিবেশ থাকে। তাহলে আমাদের কাজ করতে সুবিধা হয়। আর যদি সু-পরিবেশ না থাকে, তাহলে সব সময় আমাদেরকে বিতর্কের মধ্যে পড়তে হয়। এখন টেলিভিশন খুললেই, পত্রিকা খুললেই নির্বাচন নিয়ে কথা দেখা যায়, শোনা যায়। বাংলাদেশের সাড়ে ১৬ কোটি মানুষ নির্বাচন নিয়ে উন্মুখ হয়ে আছে।

রিটার্নিং কর্মকর্তা বাছাইয়ের পর অনেকের মনোনয়ন অবৈধ হয়। বৈধ এবং অবৈধ মনোনয়নের পত্রের বিপরীতে নির্বাচন কমিশনে আপিল হয়। গত ৬ থেকে ৮ ডিসেম্বর আপিল আবেদন শুনানি করে নিষ্পত্তি করে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের রায়ের বিরুদ্ধে অনেকে হাইকোর্টে রিট করেন। এখন অনেকেই সেই রিটে নিজেদের পক্ষে রায় পাচ্ছেন। ফলে আসন ভিত্তিক প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে পারছে না নির্বাচন কমিশন। যে কারণে ব্যালট পেপার ছাপানোর কাজে ব্যাঘাত ঘটছে।

৩০ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। রেওয়াজ অনুযায়ী, ভোটগ্রহণের সাতদিন আগে ব্যালট পেপার ছাপিয়ে জেলায় জেলায় পাঠিয়ে দেয় কমিশন। কিন্তু এবার কিছুটা বিলম্বের আশঙ্কা করছে নির্বাচন কমিশন। কেননা, গত ৯ ডিসেম্বব প্রার্থিতা প্রত্যাহার শেষে মোট প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী দাঁড়ায় ১৮৪১জন। আর এদের মধ্যে দলের ১৭৪৫ জন আর স্বতন্ত্র প্রার্থী ৯৬ জন। তবে আদালতের নির্দেশনার কারণে এ তালিকা থেকে কিছু প্রার্থী বাদ পড়েন আবার কিছু প্রার্থী যোগও হয়েছেন।

সারাবাংলা/ জিএস/জেএএম

ইসি প্রার্থিতা হাইকোর্টের নির্দেশনা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর