গুলেনের ভাতিজাকে কারাদণ্ড তুর্কি আদালতের
১৯ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৭:৩১
।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।
যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসনে থাকা তুরস্কের ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনের ভাতিজাকে সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কিত অভিযোগে সাড়ে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) এক ‘সন্ত্রাসী’ সংগঠনের সদস্য হওয়ার অভিযোগে এ কারাদণ্ড পান সেলমান গুলেন।
২০১৬ সালে তুরস্কে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের জন্য গুলেনকে দায়ী করা হয়। তবে গুলেন এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি এক সময় এরদোয়ানের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিলেন। সম্প্রতি দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কভুসগলু বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, গুলেনকে তুরস্কে হস্তান্তর করা হবে। কিন্তু হোয়াইট হাউজ এই দাবি অস্বীকার করেছে।
এদিকে মঙ্গলবার সেলমান আদালতকে বলেন, গুলেনের সঙ্গে পুরো জীবনে তার কেবলমাত্র একবার দেখা হয়েছিল। পাশাপাশি তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো অস্বীকার করেন। তিনি অভিযোগ প্রত্যাহারের দাবি করেন।
সেলমান অভিযোগ করেন, কেবলমাত্র গুলেনের আত্মীয় হওয়ার কারণে তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গুলেনের ফেতো মুভমেন্টকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে ও সংগঠন এবং গুলেনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে হাজারো মানুষকে গ্রেফতার করেছেন। ২০১৬ সালের অভ্যুত্থানে ফেতো সদস্যরা জড়িত ছিল বলে অভিযোগ তুরস্কের।
তুর্কি প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকার পার্লামেন্টকে সোমবার বলেন, অভ্যুত্থানের পর থেকে এখন পর্যন্ত ফেতো’র সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে সশস্ত্র বাহিনী থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে ১৫ হাজার ১৫৪জন সদস্যকে।
মঙ্গলবার ফেতো’র সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে বিভিন্ন জায়গা থেকে ৭০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রয়েছে সেনা, পুলিশ সদস্য ও মেডিক্যাল শিক্ষার্থী।
গত মাসে তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছে, অভ্যুত্থানের জের ধরে এখন পর্যন্ত প্রায় ২ লাখ ১৮ হাজার মানুষকে সাময়িক ও স্থায়ীভাবে আটক করা হয়েছে।
সারাবাংলা/ আরএ