নতুন সরকার গঠনের সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে: সিইসি
২০ ডিসেম্বর ২০১৮ ১১:৫৫
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: নতুন সরকার গঠনে সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেছেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা।
তিনি বলেছেন, ‘সারাদেশে নির্বাচনমুখী সুবাতাসই বলে দিচ্ছে ৩০ ডিসেম্বরের পর নতুন সরকার গঠনের সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে আগারগাঁও ইটিআই ভবনে নির্বাচনের দিন সফটয়্যার সংক্রান্ত ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ইএমএস), ক্যানডিডেট ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিআইএমএস) এবং রেজাল্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আরএমএস) প্রশিক্ষণে এসব কথা বলেন সিইসি।
মাঠ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে কেএম নূরুল হুদা বলেন, সারাদেশে নির্বাচনের একটি সুবাতাস ও একটি অনুকূল আবহ সৃষ্টি হয়েছে। মানুষের মধ্যে স্বত:স্ফূর্ত নির্বাচনমুখী আচরণ লক্ষ্য করা গেছে। নির্বাচনের সাথে সম্পৃক্ত প্রার্থীদের মধ্যে উৎসাহ দেখা যাচ্ছে এবং তাদের কর্মকাণ্ডের মধ্যে তা প্রতিফলিত হচ্ছে। তারা অনবরত সভা-মিছিল করে যাচ্ছেন এবং প্রার্থীরা তাদের ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছেন।
সিইসি বলেন, নতুন কতগুলো দিক নিয়ে এ বছর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে ইভিএমের কথা বলা হয়েছে। অন্যান্য সব প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। নতুন যোগ হয়েছে, প্রার্থীদের যে এজেন্ট কেন্দ্রে থাকবেন সেই পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণ দেওয়া। আমরা তাদের প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেবো। তারা তাদের এজেন্টদের প্রশিক্ষণ দেবে। এটার উদ্দেশ্য ছিল এর মাধ্যমে নির্বাচন কার্যক্রমের যে নীতি, আচরণবিধি, নির্বাচন পরিচালনা বিধি, পোলিং বুথের ব্যবস্থাপনা, প্রশাসনিক অবস্থা এসব ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে পোলিং এজেন্টদের ধারণা দেওয়া। যাতে পোলিং এজেন্ট বুঝতে পারে তার দায়িত্ব কি।
সেখানে প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারি প্রিজাইডিং অফিসাররা বিষয়টি বুঝতে পারেন। যার ফলে আইনগত দিকগুলো পোলিং এজেন্টরা ভালোভাবে বুঝতে পারবেন এবং ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠু এবং স্বাভাবিক থাকবে বলেও উল্লেখ করেন সিইসি।
সিইসি বলেন, নির্বাচনের মৌলিক ও বেশির ভাগ দায়-দায়িত্ব পরিচালনার ক্ষেত্রে অলরেডি ডেডিগেট করে দিয়েছি। এটা বিন্যস্ত আছে রিটার্নিং, সহকারি রিটার্নিং অফিসার এবং তাদের নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রিজাইডিং ও সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসারদের উপরে। অর্থাৎ আমরা যদি কেন্দ্রভিত্তিক বিবেচনা করি, তাহলে কিন্তু নির্বাচন কমিশনের মূল দায়িত্বটা চলে যাচ্ছে কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে। কারণ, কেন্দ্র থেকে আমরা নির্বাচনের ফলাফল পাবো। সুতরাং কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। তাদের কাছ থেকে আপনারা ফলাফল নেবেন।
সিইসি আরো বলেন, যেহেতু নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ হয়ে রিটার্নিং, সহকারি রিটার্নিং, প্রিজাইডিং অফিসারদের কাছে চলে গেছে এবং সেগুলো দেখভাল করার জন্য কতগুলো কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেগুলোর একটি হলো, ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটি। সারাদেশে ১২২টি ইনকোয়ারি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা সারাদেশে নির্বাচনে কোনো অনিয়ম হলে, আচরণবিধি ভঙ্গ হলে অথবা নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো আইন বিচ্যুতি কর্মকাণ্ড ঘটলে সেগুলো সংশোধন করবেন। তারা অনুসন্ধান করবেন এবং ব্যবস্থা নেবেন। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন চার দিন। তারা মূলত প্রার্থী এবং সমর্থকদের নানা ভুল শুধরে দেবেন। যদি সেগুলো না শোনেন তাহলে বিচার করার তাদের সুযোগ থাকবে।
অনুষ্ঠানে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এবং ইটিআইয়ের মহাপরিচালক মোস্তফা ফারুক উপস্থিত ছিলেন। বৃহস্পতিবার ৮ টি ব্যাচের ২০০ জন প্রশিক্ষণার্থী প্রশিক্ষনে অংশ নিচ্ছেন।
সারাবাংলা/ জিএস/জেএএম