আ. লীগের ভোট ১৫ ভাগ, বাকি ভোট বিএনপির: রিজভী
২০ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৪:৪১
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরকার ১০ থেকে ১৫ ভাগের বেশি ভোট পাবে না বলেই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আওয়ামী লীগের ভোট ১০ থেকে ১৫ ভাগ। বাকি ভোট বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের। বিশ্ব মিডিয়াগুলোতে এ ধরনের পরিসংখ্যানই উঠে আসছে। আর সেজন্যই সরকার এত বেপরোয়া।’
বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা, হামলা, গ্রেফতারের পরও তারা অটুট মনোবলে নির্বাচনি যুদ্ধে নিয়োজিত আছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘সারাদেশে ধানের শীষের প্রার্থীদের নির্বাচনি প্রচারণায় নেতাকর্মী-সমর্থকদের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মদত ও ছত্রছায়ায় আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা হামলা চালাচ্ছে, নেতাকর্মীদের আহত করছে, বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশির নামে পুলিশি তাণ্ডব ও গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে।’
নির্বাচনি গণসংযোগে হামলা করে নেতাকর্মীদের আটক করা হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনি সমাবেশ থেকে ফেরার পথে সাদা পোশাকধারীরা ধানের শীষের কর্মী-সমর্থকদেরকে তুলে নিয়ে গুম করছে, প্রচারের মাইক ভেঙে ফেলছে, লম্বা বাঁশের ওপরে কাঁচি লাগিয়ে ধানের শীষের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে, ধানের শীষের নির্বাচনি ক্যাম্পগুলো ভাঙচুর করছে। এমনকি পোস্টার কিংবা প্রচারপত্র যে প্রেস থেকে ছাপানো হচ্ছে, সেই প্রেসে গিয়ে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা করছে।’
রিজভী বলেন, ‘দেশের কোটি কোটি মানুষ ও বিএনপি নেতাকর্মীরা চরম উৎকণ্ঠার মধ্যে জীবনযাপন করছে। ধানের শীষের নির্বাচনি প্রচারণার সময় শুধু আওয়ামী সন্ত্রাসীরাই নয়, যৌথভাবে পুলিশও গুলি চালাচ্ছে, পুলিশের গুলিতে আহত হচ্ছেন বিএনপির হেভিওয়েট নেতারা। গ্রেফতার করা হচ্ছে প্রার্থীদেরকে। ধানের শীষের প্রায় ১০ জন প্রার্থী এখন কারাগারে।’
তিনি বলেন, দু’দিন আগে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণার সময় শেখ হাসিনা অতীত কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। অথচ সেই দিনই মুন্সীগঞ্জে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন তিন জন, সেদিনই বিএনপির বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থী আক্রান্ত হয়েছেন, হামলার শিকার হয়েছেন শত শত বিএনপিকর্মী, গ্রেফতার করা হয়েছে কয়েকশ কর্মীকে। কারাগারগুলোতে ‘ঠাঁই নাই ঠাঁই নাই’ অবস্থা। কারাগারে স্থান সংকুলান না হওয়ায় বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অজানা জায়গায়।
রিজভী বলেন, এতসবের পরও সব বাধা উপেক্ষ করে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনি সভায় জনগণের ঢল নামছে। কারণ, আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন গণতন্ত্র মুক্তির নির্বাচন, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার নির্বাচন।
সারাবাংলা/এজেড/টিআর