Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘ভোট কারচুপি করে আ.লীগের ওপর দোষ চাপাবে বিএনপি’


২০ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৫:৫০

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: নির্বাচনে বিএনপি নিজেরাই গোলমাল ও ভোট কারচুপি করে আওয়ামী লীগের ওপর দোষ চাপানোর ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘তারা (বিএনপি) আরও একটা চক্রান্ত করছে বলে আমি শুনতে পাচ্ছি। নির্বাচনের সময় তারা মুজিব কোট বানাবে; আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের ব্যাচ বানাবে। ওইভাবে গিয়ে তারা গোলমাল করে আওয়ামী লীগের ওপর বদনাম দেবে এবং ভোট কারচুপি করবে।’

বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে নিজ বাসভবন সুধাসদন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন জেলার নির্বাচনি জনসভায় সংযুক্ত হয়ে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

গত দুই দিনের ধারাবাহিকতায় আজ রাজশাহী, নড়াইল, গাইবান্ধা ও জয়পুরহাট জেলায় সংযুক্ত হন তিনি। নির্বাচনি জনসভায় অংশ নিয়ে নৌকা ও মহাজোটের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। সুধাসদন প্রান্তে যৌথভাবে সভা পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান।

বিএনপি মনোনয়ন বাণিজ্য করেছেন অভিযোগ করে শেখ হাসিনা বলেন, একটা কথা স্পষ্ট বলতে পারি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কখনও নির্বাচন নিয়ে বা প্রার্থী নির্বাচনে বাণিজ্য করে না। বাণিজ্য করেছে বিএনপি। আজকে সেজন্য তাদের ঘরে ঘরে কোন্দল, একেকটি সিটে তিন-চার জনকে করে মনোনয়ন দিয়েছে। তারপর ওই আসন অকশনে তুলেছে। অকশন দেওয়া মানে, যে বেশি টাকা দেবে, সে নমিনেশন (মনোনয়ন) পাবে। এভাবে তারা বাণিজ্য করেছে। সে জন্যই আজ তারা নিজেদের মধ্যে গোলমাল করে, নিজেরা মারামারি করে। তারা নিজেদের অফিসে আগুন দেয়। তারপর আবার অন্যের ওপর দোষ দেয়।

বিএনপি স্বাভাবিক নির্বাচনি প্রচারণা না চালিয়ে চক্রান্ত করতে ব্যস্ত বলে জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি। তিনি বলেন, একটা জিনিস খেয়াল করবেন, নির্বাচনে স্বাভাবিক প্রচার-প্রচারণায় তারা নেই। কারণ তারা চক্রান্তে ব্যস্ত, ষড়যন্ত্রে ব্যস্ত। কাল একটা জায়গা থেকে শুনলাম, ভুয়া ব্যালট পেপার ছাপাচ্ছে। তারা এরই মধ্যে আমাদের অনেক নির্বাচনি অফিস জ্বালিয়ে দিয়েছে, ভেঙে দিয়েছে। আমাদের দুই কর্মীকে পর্যন্ত হত্যা করেছে। তারপর আবার নালিশ করে। এটাই হচ্ছে চরিত্র। একদিকে তারা চক্রান্ত করছে। আরেকদিকে টাকা খরচ করে নির্বাচনকে তারা হয় বানচাল, নয়তো ভোট কারচুপি করার একটা পরিকল্পনা করছে।

টানা মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার ফলে দেশের উন্নয়নে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলো তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, নৌকাকে জয়যুক্ত করতে হবে। আমি জানি, অনেকেই প্রার্থী হতে চেয়েছেন। আমরা হয়তো সবাইকে মনোনয়ন দিতে পারিনি। আমরা নির্বাচনের দুই বছর আগে থেকে সার্ভে করে আসছি। আমরা সার্ভেতে দেখেছি, কিভাবে ইলেকশনে জয়ী হওয়া যায়। সেভাবেই আমরা প্রার্থী দিয়েছি।

সমৃদ্ধ দেশ গড়তে আওয়ামী লীগের প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করে দলটির সভাপতি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ জানে, সারাদেশে নৌকার পক্ষে জোয়ার উঠেছে। প্রতিটি মানুষ নৌকায় ভোট দিতে উদগ্রীব। মা-বোনেরা নেমেছে, তরুণ সমাজ নেমেছে। কারণ তরুণ সমাজের জন্যই আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। এই নির্বাচনি ইশতেহারেও সেই কথা উল্লেখ করে দিয়েছি। তারুণ্যের শক্তিতে কাজে লাগিয়েই আমরা দেশের উন্নয়ন করব। দেশ সমৃদ্ধ হবে। দেশ জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে উঠবে।

বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে শুরুতে আওয়ামী লীগ সভাপতি সংযুক্ত হন রাজশাহী জেলায়। এরপর একে গাইবান্ধা ও জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সঙ্গেও ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে যুক্ত হন শেখ হাসিনা। এসব জেলার বিভিন্ন আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদেরও তিনি বিজয়ী করার আহ্বান জানান ভোটারদের প্রতি।

ফাইল ছবি

সারাবাংলা/এনআর/টিআর

আওয়ামী লীগ সভাপতি নির্বাচনি জনসভা শেখ হাসিনা


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর