‘জামায়াত-বিএনপির টাকা নিন, নৌকা মার্কায় ভোট দিন’
২০ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৫:১১
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: বিএনপি ও জামায়াত জনগণের সম্পদ লুটপাট করে অগাধ সম্পদের মালিক হয়েছে বলে তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘এটাই জনগণকে বলতে হবে— যারা অর্থশালী, তাদের অর্থ নেন; আর নৌকা মার্কায় ভোট দেন।’
বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে নিজ বাসভবন সুধাসদন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন জেলার নির্বাচনি জনসভায় সংযুক্ত হয়ে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন- ‘ভোট কারচুপি করে আ.লীগের ওপর দোষ চাপাবে বিএনপি’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জনগণের সম্পদ লুটপাট করে অগাধ সম্পদের মালিক হয়েছে। মানিলন্ডারিং, অস্ত্র চোরাকারবারি, এতিমের অর্থ আত্মসাৎ— এরকম বিভিন্ন পথে তারা এত টাকা কামাই করেছে। বিএনপি-জামায়াত দু’টিরই টাকার কোনো অভাব নাই। তাই জনগণকে বলব, জনগণের অর্থ তারা আত্মসাৎ করেছে। কাজেই এই অর্থওয়ালার অর্থ আবার জনগণের কাছে পৌঁছাক। অর্থওয়ালার অর্থ নেন, নৌকা মার্কায় ভোট দেন। এটাই জনগণকে বলতে হবে। যারা অর্থশালী, তাদের অর্থ নেন আর নৌকা মার্কায় ভোট দেন।’
‘কারণ নৌকা মার্কায় ভোট না দিলে দেশে শান্তি আসবে না। গণতন্ত্র হবে না, উন্নতি হবে না। আর ওরা কোথায় কী চক্রান্ত করবে, সেগুলো খুঁজে বের করতে হবে। এটা নড়াইলে শুধু না, সবাইকে বলছি। আমার কাছে তাদের এই ধরনের চক্রান্তের অনেক তথ্য এসেছে,’— বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা নিজেকে নড়াইলের সংসদ সদস্য হিসেবে তুলে ধরে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করতে নড়াইলবাসীর কাছে নৌকার ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বাংলার জনগণ উপলব্ধি করে, সরকার জনগণের সেবক। সরকার ইচ্ছা করলেই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে, উন্নত করতে পারে— এটা আওয়ামী লীগ আসার আগে কেউ বুঝতে পারেনি।
২০০১ সালে চক্রান্ত করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হয়নি অভিযোগ করে শেখ হাসিনা বলেন, ওই সময় দেশের সম্পদ অন্যের কাছে বিক্রি করার চক্রান্ত করে বিএনপি মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় আসে। ক্ষমতার আসার পর তারা অত্যাচার-নির্যাতন শুরু করে। বাংলাদেশের এমন কোনো এলাকা নাই, বিএনপির অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার মানুষ হয়নি।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী আমরা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে উদযাপন করব। আর যেসব মেগা প্রজেক্ট নিয়েছি, সেগুলো বাস্তবায়ন করে আর্থসামাজিক উন্নয়ন করব।
নৌকার প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। এসময় নড়াইল-২ আসনের নৌকার প্রার্থী সুধাসদনে ছিলেন শেখ হাসিনার পাশেই। আরেক প্রার্থী নড়াইল-১ আসনের কবিরুল হক মুক্তি নেতাকর্মীদের নিয়ে উপস্থিত ছিলেন ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের জায়গায়।
বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে শুরুতে আওয়ামী লীগ সভাপতি সংযুক্ত হন রাজশাহী জেলায়। সেখানে তিনি নৌকা ও শরিক জোটের প্রার্থীকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান। এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রাজশাহী-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী, রাজশাহী ২-আসনের মহাজোট প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশা, রাজশাহী-৩ আসনের আয়েন উদ্দিন, রাজশাহী-৪ আসনের ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক, রাজশাহী-৫ আসনের ডা. মনসুর রহমান ও রাজশাহী-৬ আসনের শাহরিয়ার আলম নৌকায় ভোট চান।
এছাড়াও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারও ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে রাজশাহীর প্রতিটি আসনের নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
এরপর একে গাইবান্ধা ও জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সঙ্গেও ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে যুক্ত হন শেখ হাসিনা। এসব জেলার বিভিন্ন আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদেরও তিনি বিজয়ী করার আহ্বান জানান ভোটারদের প্রতি।
সারাবাংলা/এনআর/টিআর
আওয়ামী লীগ সভাপতি নির্বাচনি জনসভা প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সিং শেখ হাসিনা