দিনাজপুর-৩ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী নেই
২১ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৪:১৯
।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট।।
দিনাজপুর: দিনাজপুর-৩ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়া সৈয়দ জাহাঙ্গীরের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ। মেয়র পদে থেকে তিনি নির্বাচন করছিলেন। এসব কারণে তারা নির্বাচন করতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
হাইকোর্টের একটি আদেশে সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমের প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায় দিনাজপুর-৩ (সদর) আসনে ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী শূন্য হয়ে গেছে। আদালতের আদেশের পর থেকে দিনাজপুর-৩ (সদর) আসনে বিএনপির নির্বাচনি প্রচারণা গত তিন দিন বন্ধ রয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, জাহাঙ্গীর আলমের প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায় স্থানীয় ধানের শীষের ভোটার, সমর্থক ও নেতাকর্মীরা পড়েছে চরম হতাশায়। তবে প্রার্থিতা ফিরে পেতে হাইকোর্টের আপিলের জন্য ঢাকায় অবস্থান করছেন সৌয়দ জাহাঙ্গীর আলম।
এদিকে, বিএনপি প্রার্থী সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমের প্রার্থিতা বাতিল হলেও আওয়ামী লীগ প্রার্থী ইকবালুর রহিমের প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে সমর্থক ও নেতাকর্মীরা।
সূত্র আরও জানায়, দিনাজপুর পৌর মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ না করে দিনাজপুর-৩ (সদর) আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিতে সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তবে রিটার্নিং অফিসার তার মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেন। পরে রিটার্নিং কর্মকর্তার এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম রিট করলে ৯ ডিসেম্বর বিকেলে হাইকোর্ট তার মনোনয়নপত্র গ্রহণ করতে ও নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে নির্দেশ দেন।
এদিকে, জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করায় ওই আসন থেকে দিনাজপুর সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোফাজ্জল হোসেন দুলালও মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তবে হাইকোর্ট জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্র গ্রহণের নির্দেশ দিলে আসনটিতে তিনিই ঐক্যফ্রন্টের চূড়ান্ত প্রার্থী হন। এতে বাতিল হয়ে যায় মোফাজ্জল হোসেন দুলালের প্রার্থিতা।
মনোনয়ন না পেয়ে দুলাল কিছুটা হতাশ হয়ে পড়লেও পরে তাকে দলীয় প্রার্থী জাহাঙ্গীরের পক্ষে ভোট চেয়ে নির্বাচনি প্রচারণা চালাতে দেখা যায়। কিন্তু পৌর মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ না করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় হঠাৎ ১৮ ডিসেম্বর হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চ ‘নো অর্ডার’ আদেশ দেন। এতে সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমের প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যায়।
এ ব্যাপারে সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। ক্ষমতার অপব্যবহার করেই আমাকে নির্বাচন থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। বেশ কয়েকজন পৌর মেয়র পদে বহাল থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।’ অন্যান্য প্রার্থী মেয়র পদে থেকে নির্বাচন করলেও আমার প্রার্থিতায় কেন এমন হচ্ছে— প্রশ্ন রাখেন তিনি।
সারাবাংলা/এমএইচআর/এমএইচ