শিশু পাউডারে ক্যানসারের উপাদান! পরীক্ষাগারে জনসন অ্যান্ড জনসন
২১ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৬:৩৫
।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।
জনসন অ্যান্ড জনসনের বেবি পাউডারে ক্যানসার সৃষ্টিকারী উপাদান (অ্যাজবেটস) থাকতে পারে এবং ১৯৭১ সালের পর থেকেই কোম্পানিটি সেটা জানে। এ বিষয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর বাংলাদেশ থেকে জনসন অ্যান্ড জনসনের বেবি পাউডারের উপাদান সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার করা হবে বলে জানিয়েছে—কোম্পানিটির প্রধান পরীক্ষণ কর্তৃপক্ষ।
জনসনের উপাদানে ক্যানসার সৃষ্টিকারী অ্যাজবেটস থাকতে পারে এই অভিযোগে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তাদের দেশে জনসনের দুটি ফ্যাক্টরির উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ দেওয়ার কারণে বিষয়টি জনসম্মুখে এসেছে। ভারতীয় কতৃক্ষ জানিয়েছে যদি পরীক্ষায় প্রমাণিত হয় তাদের উপাদানে ক্যানসার সৃষ্টিকারী অ্যাজবেটস নেই—তাহলে তারা আবারও উৎপাদন শুরু করতে পারবে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনিস্টিটিউট (বিএসটিআই) জানিয়েছে, জনসনের উপাদান পরীক্ষার কাজটি দেশের মধ্যে অথবা বাইরে যে কোনো স্থানেই হতে পারে।
এ ব্যাপারে বিএসটিআই-এর ডিরেক্টর এস এম ইসাহাক আলী রয়টার্সকে জানান, ‘আমরা বিষয়টি খুবই গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি এবং কয়েক দিনের মধ্যেই বাজার থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘যতক্ষণ না পরীক্ষায় প্রমাণিত হচ্ছে জনসনের বেবি পাউডারে অ্যাজবেটস আছে, ততক্ষণ আমরা বাজারে জনসনের পাউডার বিক্রি বন্ধ করছি না।’
তবে জে অ্যান্ড জে কতৃপক্ষ রয়টার্সের এই প্রতিবেদনকে— ‘একপাক্ষীক, মিথ্যা ও উত্তেজক’ বলে অভিহিত করেছে। গত বৃহস্পতিবার জনসন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘তারা নিয়মিতভাবে সরবরাহকারী ও স্বতন্ত্র পরীক্ষাগারে পাউডারের উপাদান পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়—সেখানে ক্ষতিকর অ্যাসবেটস আছে কি না।
এ ছাড়াও এক বিবৃতিতে রাতা বয়টার্সকে জানিয়েছে, ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান ও মালদ্বীপের বাজারে যে ট্যালকম পাউডার বিক্রি করা হয় তার ট্যালক নির্দিষ্ট উৎস থেকেই সংগ্রহ করা—এবং সেগুলো ব্যবহার করে সম্পূর্ণ ভারতীয় মানদণ্ড অনুয়ায়ী পাউডার তৈরি করা হয়।
সারাবাংলা/এমআই