দেশে গৃহযুদ্ধ হতে পারে, ইইউ প্রতিনিধিকে অলি
২১ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৮:৪৫
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।
চট্টগ্রাম ব্যুরো: বাংলাদেশে নির্বাচন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আসা ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধির সঙ্গে প্রায় সোয়া একঘণ্টা বৈঠক করেছেন ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও এলডিপি সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল অলি আহমেদ।
বৈঠক শেষে অলি আহমেদ বলেছেন, মানুষ নির্বিঘ্নে ভোট দিতে না পারলে দেশে গৃহযুদ্ধের সম্ভাবনা আছে। তবে, শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টা থেকে সোয়া ৪টা পর্যন্ত নগরীরর হোটেল রেডিসন ব্লু বে ভিউ’র লবিতে এই বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে ছিলেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ইলেকশন এক্সপার্ট মিশন বাংলাদেশ-২০১৮ এর টিম লিডার ডেভিড ওয়ার্ড। বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
তবে, অলি আহমেদ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ইইউ প্রতিনিধি ভোটের সার্বিক পরিবেশ নিয়ে জানতে চেয়েছেন।
অলি আহমেদ বলেন, ‘আমি বলেছি- ভোট করে প্রার্থী আর জনগণ। কিন্তু এখানে জনগণের কোনো ভূমিকা নেই। এখানে, কিছুসংখ্যক কর্মকর্তাই নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করছেন। এটা যেন না হয়। কারণ, প্রতিষ্ঠান যদি আমরা ধ্বংস করি, বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধ (সিভিল ওয়ার) হবে। এটা কেউ বন্ধ করতে পারবে না।’
‘প্রত্যেককে নিরাপদে ভোটকেন্দ্রে যেতে দেওয়া, ভোট দিতে পারা এবং ভোট দেওয়ার পর নিরাপদে ফিরে যাওয়া যদি সরকার নিশ্চিত করতে না পারে, তাহলে গৃহযুদ্ধ হতে বাধ্য। এই কথাটা আমি ইইউ প্রতিনিধিকে বলেছি। এটাও বলেছি, মানুষ যখন মৃত্যুর মুখোমুখি হয়, সে বাঁচার জন্য যুদ্ধ করে।’ বলেন অলি
নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত থাকার বিষয়ে কিছু জানতে চেয়েছে কি-না এই প্রশ্নের জবাবে অলি বলেন, ‘জানতে চেয়েছেন। আমি বলেছি, নির্বাচনে অবশ্যই থাকব, এটা কারও বাপের দেশ না। এটা একদম পরিষ্কার কথা। ‘টিল ডেথ উই ফাইট’ এটাও বলেছি।’
হস্তক্ষেপ নয়, ইইউ প্রতিনিধিদের কাছ থেকে সহযোগিতা চেয়েছেন বলেও জানান অলি।
‘আমি বলেছি, আমরা আপনাদের কোনো হস্তক্ষেপ চাই না। তবে সহযোগিতা চাই। ভোটকেন্দ্রে যাওয়া প্রত্যেকের জন্মগত অধিকার। ভোট দেওয়া তার জন্মগত অধিকার। কে কাকে ভোট দেবে সেটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। ওই জায়গায় যেন কেউ হস্তক্ষেপ করতে না পারে।’ বলেন অলি
অলি ইইউ প্রতিনিধিকে আরও জানিয়েছেন, বড় বড় ইয়াবা ব্যবসায়ীরা নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করছে।
‘আমি এটাও বলেছি যে, এখানে ইয়াবা ব্যবসায়ী যারা আছে তারাই ভোট নিয়ন্ত্রণে অনেকাংশে কাজ করছে। চট্টগ্রামে যারা বড় বড় ইয়াবা ব্যবসায়ী আছে, তাদের বিরুদ্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থা নেননি।’ বলেন অলি আহমেদ
চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক) আসন থেকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের সমর্থনে প্রার্থী হয়েছেন বিএনপি সরকারের সাবেক মন্ত্রী অলি আহমেদ, যিনি ২০০৬ সালে বিএনপি থেকে বেরিয়ে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) গঠন করেন।
সারাবাংলা/আরডি/এমএইচ/জেএএম