‘বিজিবি-র্যাবকে বিরোধী কর্মীদের লিস্ট সরবরাহ করা হবে’
২২ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৪:৩১
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, ২০ দলীয় জোট এবং বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি অভিযানের মাত্রা বাড়ানোর জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিজিবি ও র্যাবকে লিস্ট সরবরাহ করবে— এমন অভিযোগ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর।
শনিবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, আজ থেকে বিএনপি, ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অপারেশনের মাত্রা বৃদ্ধি করা হবে। এক্ষেত্রে বিজিবি ও র্যাবকে বিএনপি নেতাকর্মীদের লিস্ট সরবরাহ করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।’
তিনি বলেন, ‘সারাদেশে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ওয়ার্ড থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের তালিকা স্থানীয় থানায় এরইমধ্যে জমা দিয়েছে। সেই তালিকাগুলোই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখন বিজিবি ও র্যাবের কাছে সরবরাহ করছে। সরবরাহ করা তালিকা ধরে ধরে আজ রাত থেকেই নাকি বিরোধী নেতাকর্মীদের আটক করা হবে।’
পুলিশ প্রশাসন ক্ষমতাসীন দলের স্বার্থেই নির্বাচন একতরফা করতে সকল শক্তি নিয়ে মাঠে নেমেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘ঢাকা মহানগরসহ দেশব্যাপী আইন শৃঙ্খলা বাহিনী যেন মরণকামড় দিচ্ছে। ধানের শীষের প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের চালুনি দিয়ে ছেঁকে তুলছে।’
‘সারাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে হানা দেওয়া হচ্ছে তাদেরকে ধরার জন্য। নেতাকর্মীদেরকে না পেয়ে মহিলা সদস্যসহ পরিবারের লোকজনদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি দেওয়া হচ্ছে এবং কোথাও কোথাও বিএনপি নেতাকর্মীকে না পেয়ে স্ত্রী ও সন্তানদের ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে’—অভিযোগ রিজভীর।
তিনি বলেন, ‘ধানের শীষের পোলিং এজেন্ট হিসেবে যাদের মনোনীত করা হবে নির্বাচনের দুইদিন আগেই তাদের গ্রেফতার করা হবে। বিভিন্ন সূত্র থেকে আমরা আরও জানতে পেরেছি ডিএমপি থানার ওসিরা সিল মারার জন্য প্রাপ্ত তালিকাভুক্ত আওয়ামী কর্মীদের সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন এবং নির্দেশনা দিচ্ছেন।’
রিজভী বলেন, ‘এক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত যুবক বয়সের কর্মীরা সিল মারার দায়িত্বে থাকবেন, ৫ জন করে কেন্দ্রভিত্তিক সিল মারা গ্রুপ ঠিক করা হয়েছে, শুধুমাত্র দল নেতার কাছে মোবাইল থাকবে এবং ২৯ তারিখ রাতে নির্দিষ্ট নাম্বার ব্যতীত অন্য কোন কল রিসিভ করবে না, থানা থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত এস আই-এর নেতৃত্বে থাকবে এবং রাতে ৩০% ভোট সিল মারা হলে তারা কেন্দ্র থেকে চলে যাবে।’
‘রাত ও দিনের বেলা কেন্দ্রের বাইরে পাহারা দেওয়ার জন্য কর্মীদের দ্বারা পৃথক টিম গঠন করে দিয়েছে পুলিশ, সিল মারার সময় বাইরে সর্তক অবস্থায় থাকবে বিভিন্ন বাহিনী, দিনের বেলায় আওয়ামী অন্যকর্মীরা লাইনে থাকবে, বারবার বিশৃঙ্খলা তৈরি করে আবার ঠিক করা হবে এবং ভোট প্রদানের গতি অনেক মন্থর করা হবে, পুলিশের মোবাইল টিম কর্তৃক বিরোধীদলের সমর্থিত এলাকার লোকদের আসার ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করবে’— জানান রিজভী।
সারাবাংলা/এজেড/একে