‘কিশোরদের বিকাশে খেলাধুলার চর্চা গুরুত্বপূর্ণ’
২৩ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৪:৪২
সারাবাংলা ডেস্ক ।।
‘লেখাপড়ার পাশাপাশি কিশোরদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে, সুস্থ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সহিষ্ণুতা অর্জনে, মাদকাসক্তি ও জঙ্গিবাদসহ সকল অসামাজিক কর্মকান্ড থেকে বিরত রাখতে খেলাধুলা চর্চা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।’ রোববার (২৩ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ড কাপ ফুটবলের (অনূর্ধ্ব-১৭) ফাইনাল উপলক্ষে আগের দিন (শনিবার) এক বাণীতে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (২৩ ডিসেম্বর) আসরের ফাইনালে শিরোপার লড়াইয়ে নামবে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগ। আর এই আয়োজনকে সামনে রেখে শনিবার (২২ ডিসেম্বর) দেওয়া বাণীতে কিশোরদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলার চর্চা করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন প্রধানমন্ত্রী। সারাদেশ থেকে মানসম্মত ফুটবলার বাছাই করার লক্ষ্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় জাতির জনকের নামে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয়। এই আয়োজনের আয়োজক এবং সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান শেখ হাসিনা।
‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট (অনূর্ধ্ব ১৭) ২০১৮’র সাফল্য কামনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। জাতির পিতা স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের ক্রীড়া অঙ্গনের উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। বর্তমান সরকারও খেলাধুলার উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, তার নেতৃত্বাধীন সরকার বিভিন্ন ক্রীড়া অবকাঠামো তৈরি করে দিচ্ছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে। খেলোয়াড়দের উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি খেলাধুলার প্রসারে আর্থিক অনুদানও বৃদ্ধি করা হয়েছে, ‘আমরা শিক্ষা ও ক্রীড়া প্রতিষ্ঠানে খেলাধুলার সরঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছি’।
শেখ হাসিনা আশা করেন, এ ফুটবল টুর্নামেন্ট প্রতিযোগীদের আত্মপ্রত্যয়ী করে গড়ে তুলে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবে। ফুটবলের এমন আয়োজনের ফলে ক্রিকেটের মতো ফুটবলেও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করবে, আর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা প্রতিভাবান ফুটবলার বের হয়ে আসবে বলেই মনে করেন তিনি।
আসরের ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের হাতে শিরোপা এবং প্রাইজমানি তুলে দেবেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
বাসস।
সারাবাংলা/এসএন