ইন্দোনেশিয়ায় সুনামি, নিহত ২২০
২৩ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৮:৪৩
।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।
ইন্দোনেশিয়ার সান্দা স্ট্রেইট উপকূলে সুনামির আঘাতে অন্তত ২২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ৮৪৩ জন। দেশটির দুর্যোগ বিষয়ক সংস্থা জানায়, ক্রাকাতোয়া আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের ফলে ভূ-গর্ভস্থ ভূমিধস থেকে সুনামির সৃষ্টি হয়েছে। এরসঙ্গে যুক্ত হয়েছে পূর্ণচন্দ্রের প্রভাব। খবর বিবিসির।
কর্তৃপক্ষ বলছে, শনিবার সুনামি আঘাত হানে। সেখানকার পানদেগ্লাং, দক্ষিণ লামপাং ও সিরাং অঞ্চল থেকে নিহতের খবর পাওয়া গেছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। সুনামিতে অনেক ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
https://www.youtube.com/watch?v=Fq6kI8I2PEQ
সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমে প্রকাশ পাওয়া বিভিন্ন ছবি ও ভিডিওতে সুনামির তাণ্ডব দেখা যায়। স্থানীয় একটি রিসোর্টে সংগীত পরিবেশনা করছিল জনপ্রিয় ব্যান্ড সেভেনটিন। তখন বিশালাকার ঢেউ স্টেজে হামলে পড়ে। এখনো ব্যান্ডটির দুজন সদস্য নিখোঁজ রয়েছেন।
অয়েস্টিন লোন এন্ডারসন নামে এক ফটোগ্রাফার সুনামির ভয়াবহতা প্রত্যক্ষ করেছেন। তিনি জানান, আমি আগ্নেয়গিরির ছবি তুলতে চেষ্টা করছিলাম। হঠাৎ ঢেউ দেখতে পাই। পরপর দুটি ঢেউ আঘাত হানে। প্রথমটি অতটা জোরালো ছিলো না। আমি পালিয়ে আসতে পারি।
দ্য আনাক ক্রাকাতোয়া আগ্নেয়গিরিটি গত কয়েকমাস ধরে সক্রিয় দেখা যাচ্ছে। শুক্রবার এটি ২ মিনিটি ১২ সেকেন্ডের জন্য অগ্নুৎপাত ঘটায়। ফলে প্রায় ১৩শ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত আকাশ কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায়।
আগ্নেয়গিরি বিশেষজ্ঞ জেস ফনিক্স বলেন, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে গরম ম্যাগমা সমুদ্রের তলদেশে গিয়ে আঘাত করে ও গঠনে বিচ্যুতি ঘটায়। এতে ভূমিধসের সৃষ্টি হতে পারে। ক্রাকাতোয়া আগ্নেয়গিরির অনেকটা অংশ সমুদ্রের গভীরে রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ সেপ্টেম্বর ইন্দোনেশিয়ার সুলাবেসি দ্বীপে ভূমিকম্পের পর সুনামির আঘাতে অন্তত দেড় হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিলো। পৃথিবীর অর্ধেকেরও বেশি সক্রিয় আগ্নেয়গিরির অবস্থান ইন্দোনেশিয়ায় হওয়ায় দেশটিতে প্রায়ই ভূমিকম্প ও নানান প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা ঘটে।
সারাবাংলা/এনএইচ/ আরএ
আরও পড়ুন
ইন্দোনেশিয়ায় সুনামি: চার্চে মিললো ৩৪ শিক্ষার্থীর মরদেহ
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্প ও সুনামিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮৩২