।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন টাঙ্গাইল-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। রোববার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সঙ্গে দেখা করেন তিনি। সিইসিকে চিঠি দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই কথা জানিয়েছেন লতিফ সিদ্দিকী।
উপস্থিত সাংবাদিকদের লতিফ সিদ্দিকী জানান, আমি আর নির্বাচন করছি না। কারণ মাঠ নির্বাচন করার মতো সমতল নয়। কমিশন দাবি করেছে মাঠ সমতল- এমনই সমতল যে পুলিশের বুটের তলে পড়তে হয়। আর সন্ত্রাসীদের লাঠির আঘাত খেতে হয়। আমার অফিস ভেঙে দিয়েছে। আমার নিরীহ লোকদেরকে প্রতিনিয়ত গ্রেফতার করছে। যারা সমর্থক তাদেরকে পুলিশ প্রতিনিয়ত টেলিফোন করে ভয় দেখাচ্ছে। এর পড়ে ইলেকশন করা যায় না কি?
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনতো বাণিজ্য নয়। আমি জীবনে অনেক ইলেকশান করেছি। ১৯৭০ সাল থেকে শুরু করেছি আজকে ২০১৮ সাল, এই রকম নির্বাচন আমার এলাকায় আমি জীবনেও দেখিনি। চিফ ইলেকশান কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেছি। কিছুই চাইনি। আমি কিছু চাওয়ার লোক না। আমি বলে আসলাম, আপনি যে পরিচালনাটা করছেন। এই পরিচালনায় আপনি ব্যর্থ। এই পরিচালনায় নির্বাচন হতে পারে না। তাই আমি মাঠ ছেড়ে দাঁড়ালাম।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনতো আর প্রত্যাহারের সুযোগ নেই। তাই আমি সরে দাঁড়ালাম। আমি সুযোগ কেন করে দেবো- নিরীহ মানুষ আহত-নিহত হবে। তাদের দায় আমাকে নিতে হবে। আমি সেই দায় নেব না। আমি এতো বড় বীর পুরুষ হতে চাই না। এটা স্বাধীনতা যুদ্ধ না যে, মুখোমুখি লড়াই করব। যার সাথে লড়াই করব, সে আমারই কর্মী কিংবা কর্মীর সন্তান। আমি কেন যাব এই ধরনের হানাহানিতে- যদি নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করতে না পারে।
আমি তাকে (সিইসি) বলে আসলাম আপনি স্বীকার করুন আর না করুন, আপনি ব্যর্থ। কমিশনের পক্ষ থেকে কী বলা হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছুই বলা হয়নি। আমিতো তার কাছে শুনতে চাইনি। আমি বলেছি এক মিনিট আপনার সাথে দেখা করে চিঠি দিয়ে চলে যাব। এ দেশে চাইলে কিছু হয় না। ঘটনাক্রমে ঘটে বললেন লতিফ সিদ্দিকী।
সারাবাংলা/জিএস/এটি