Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মা-বাবা’র পাশেই চিরনিদ্রায় আমজাদ হোসেন


২৩ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৪:৪১

আমজাদ হোসেনের জানাজা

এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট ।।

জামালপুরে মা-বাবা’র পাশেই চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন দেশ বরেণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা ও সাহিত্যিক আমজাদ হেসেন। আজ (২৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে এগারোটায় জামালপুর পৌর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে শনিবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে আমজাদ হেসেনের প্রতি সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা প্রদর্শনের জন্য রাখা হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখান থেকে নেয়া হয় এটিএন বাংলার সামনে। বাদ যোহর এফডিসিতে হয় আমজাদ হোসেনের তৃতীয় জানাজা। চতুর্থ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে চ্যানেল আই কার্যালয়ে। চ্যানেল আই প্রাঙ্গনের জানাজা শেষে আমজাদ হোসেনের মরদেহ তার নিজ জেলা জামালপুরে নেয়া হয়।

২৩ ডিসেম্বর সকালে আমজাদ হোসেনের পঞ্চম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় জামালপুর সদর হাইস্কুল মাঠে। এরপর তাকে জামালপুর পৌর কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে সমাহিত করা হয়।

দাফন শেষে আমজাদ হোসেনের বড় ছেলে সাজ্জাদ হোসেন দোদুল সারাবাংলাকে জানান, ‘বাবার ইচ্ছা ছিল তাকে যেন জামালপুরে দাফন করা হয়। তার ইচ্ছা পূরণ হয়েছে। তাকে জামালপুরেই দাদা-দাদির পাশে দাফন করা হয়েছে। সবখানের মতো এখানেও বাবার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ছিল উপচে পড়া মানুষ।’

উল্লেখ্য বরেণ্য চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেন ১৮ নভেম্বর ব্রেন স্ট্রোক করেন। গুরুতর অবস্থায় তাকে রাজধানীর ইমপালস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রথমদিন থেকেই তাকে রাখা হয় লাইফ সাপোর্টে।

২০ নভেম্বর আমজাদ হোসেনের দুই ছেলে সাজ্জাদ হোসেন দোদুল ও সোহেল আরমান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন।প্রধানমন্ত্রী সেসময় আমজাদ হোসেনের চিকিৎসার সব দায়িত্ব নেন।

বিজ্ঞাপন

উন্নত চিকিৎসার জন্য ২৮ নভেম্বর রাতে আমজাদ হোসেনকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হয় ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসা হয় আমজাদ হোসেনের। ব্রেন স্ট্রোকের কারণে তৈরী হওয়া সম্ভাবনা ছাড়াও শরীরের বাইরে এবং ভেতরে ইনফেকশন ছিল তার।

ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে ১৪ ডিসেম্বর সেখানকার সময় বেলা ৩টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আমজাদ হোসেন। তার মরদেহ দেশে নিয়ে আসা হয় ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টায়।

বিশিষ্ট অভিনেতা, লেখক এবং চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেন ১৯৬১ সালে ‘হারানো দিন’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে আসেন। পরে তিনি চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনায় মনোনিবেশ করেন। তার পরিচালিত প্রথম ছবি আগুন নিয়ে খেলা (১৯৬৭)। পরে তিনি নয়নমনি (১৯৭৬), গোলাপী এখন ট্রেনে (১৯৭৮), ভাত দে (১৯৮৪) দিয়ে প্রশংসিত হন।

গোলাপী এখন ট্রেনে ও ভাত দে চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পরিচালকের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। শিল্পকলায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদক (১৯৯৩) ও স্বাধীনতা পুরস্কারেও ভূষিত করে।

এছাড়া সাহিত্য রচনার জন্য তিনি ১৯৯৩ ও ১৯৯৪ সালে দুইবার অগ্রণী শিশু সাহিত্য পুরস্কার ও ২০০৪ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৪২ সালের ১৪ আগস্ট জামালপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন গুণী এই মানুষটি।

সারাবাংলা/পিএ/পিএম


আরও পড়ুন :

.   দেশের বাইরে যাচ্ছে ‘দহন’

.   শাহরুখকে দেখতে চান ভক্ত মালালা

.   নকশী কাঁথার মাঠ অবলম্বনে চলচ্চিত্র ‘নকশী কাঁথার খোঁজে’


আমজাদ হোসেন জামালপুর দাফন মৃত্যু

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর