ফতুল্লায় বাসায় আগুন: বাবা-ছেলের মৃত্যু
২৩ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৪:৪৩
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার হকবাজার এলাকার একটি বাসায় আগুনের ঘটনায় শ্রীনাথ চন্দ্র বর্মন ও তার ছেলে অর্পিদ চন্দ্র বর্মন মারা গেছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা চারজনে দাঁড়িয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তারা। শনিবার রাতে মারা যান অর্পিদ বর্মন ও রোববার রাতে মারা যান তার বাবা শ্রীনাথ চন্দ্র বর্মন। বার্ন ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শংকর পাল ওই দুইজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, অর্পিদের শরীরের ৪৬ শতাংশ ও শ্রীনাথের ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। দুজনই বার্ন ইউনিটের হাইডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) ভর্তি ছিল। এর আগে মারা যায় শ্রীনাথের মা হরিদাসি ওরফে ছায়া রানী ও বোন সুনিত্রা রানী।
গত বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে হকবাজার এলাকার ওই বাসায় আগুন লাগে। দগ্ধ অবস্থান তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
বর্তমানে শ্রীনাথের স্ত্রী অর্চনা রানী (৩০), মেয়ে অনামিকা (১৫), বোন সুনিত্রা রানী (২৭), ভাতিজা প্রমিত চন্দ্র বর্মন (১৪), শাওন চন্দ্র বর্মন (১০), বোন জামাই নারায়ণ চন্দ্র বর্মন (৪০) বার্ন ইউনিটে ভর্তি আছেন।
দগ্ধ শ্রীনাথের ভাই অনাথ বর্মন জানান, তারা হক বাজার এলাকার চারতলা একটি বাসার তৃতীয় তলায় ভাড়া থাকেন। ওইদিন ভোরে পরিবার সদস্যরা ঘুমিয়ে ছিল। এ সময় হঠাৎ করে গ্যাসের চুলা থেকে আগুন লাগে। পরে প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে বার্ন ইউনিটে নিয়ে আসে।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ বক্সের ইনচার্জ (এসআই) বাচ্চু মিয়া জানান, অগ্নিদগ্ধের ঘটনায় শিশু-নারীসহ ১০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে ৪/৫ জনের অবস্থা গুরুতর।
ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুর কাদের বলেন, ভোরের দিকে হকবাজারের একটি বাসায় অগ্নিদগ্ধের ঘটনা ঘটে। এতে ১০ জন দগ্ধ হয়। ধারণা করা হচ্ছে গ্যাসের চুলার লিকেজ থেকে বাসায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। তারপরও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সারাবাংলা/এসএসআর/একে