পাস বেড়েছে, জিপিএ-৫ কমেছে
২৪ ডিসেম্বর ২০১৮ ১২:৩৩
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: এবার জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় গত বছরের চেয়ে পাসের হার বেড়েছে। তবে জিপিএ-৫ প্রাপ্তের সংখ্যা কমেছে।
এ বছর জেএসসিতে গড় পাসের হার ৮৫.৮৩ শতাংশ। এ ছাড়া জেএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৮ হাজার ৯৫ জন। শতভাগ পাশের প্রতিষ্ঠান ৪,৭৬৯টি। এ ছাড়া মাদ্রাসা বোর্ডে পাশে হার ৮৯.০৪ শতাংশ।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার ফলাফলের পরিসংখ্যান ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
এবার আটটি সাধারণ বোর্ড ও মাদ্রাসা বোর্ডে অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৫ লাখ ৯৯ হাজার ১৬৯ জন। যা গত বছর ছিল ২৪ লাখ ৮২ হাজার ৩৪২ জন। গতবারের চেয়ে এবার পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণের সংখ্যা বেড়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ৮২৭ জন।
এবার পাস করেছে ২২ লাখ ৩০ হাজার ৮২৯ জন। যা গত বছর ছিল ২০ লাখ ১৮ হাজার ২৭১ জন। এবার পাসের সংখ্যা বেড়েছে ২ লাখ ১২ হাজার ৫৫৮ জন।
এবার পাসের হার ৮৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ। গত বছর পাসের হার ছিল ৮৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ। গতবছরের চেয়ে এবার পাসের হার বেড়েছে ২ দশমিক ১৮ শতাংশ।
এবার উভয় বোর্ডে মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৮ হাজার ৯৫ জন। গত বছর ছিল ১ লাখ ৯১ হাজার ৬২৮ জন। চতুর্থ বিষয়সহ জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৯৫ হাজার ৭৩১ জন।
জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা ছাড়া এবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) অধীন অনুষ্ঠিত পিইসি ও ইইসি পরীক্ষায় ২৯ লাখ ৩৪ হাজার ৯৫৫ জন অংশ নেয়। অন্যদিকে ৯ শিক্ষা বোর্ডের অধীন অনুষ্ঠিত জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ২৩ লাখ ২৯ হাজার ২৪১ শিক্ষার্থী।
গত ১ নভেম্বর শুরু হয় জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা। এতে সারাদেশের ২৬ লাখ ৭০ হাজার ৩৩৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এ ছাড়া পিইসি ও ইবতেদায়ি পরীক্ষায় অংশ নেয় ৩০ লাখ ৯৫ হাজার ১২৩ জন শিক্ষর্থী।
পরীক্ষার ফলাফল জানতে-
যেকোনো মোবাইল ফোন থেকে প্রাথমিক সমাপনীর ফল জানতে- মেসেজ ওপশানে গিয়ে DPE স্পেস থানা/উপজেলা কোড নম্বর স্পেস রোল নম্বর স্পেস ২০১৮ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।
ইবতেদায়ির ফল জানতে মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে EBT স্পেস থানা/উপজেলা কোড নম্বর স্পেস রোল নম্বর স্পেস ২০১৮ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।
এই এসএমএস লেখার সময় সরকারি অথবা রেজিস্ট্রার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের EMIS কোড নম্বরের প্রথম পাঁচ সংখ্যা উপজেলা/থানা কোড হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ওয়েবসাইট (http://www.dpe.gov.bd), সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিস ও প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেও ফল জানা যাবে।
এ ছাড়া প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ওয়েবসাইট এবং টেলিটকের ওয়েবসাইট থেকেও প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনীর ফল জানা যাবে।
জেএসসি ও জেডিসি
যেকোনো মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে JSC/JDC লিখে স্পেস নিজ বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর স্পেস রোল নম্বর স্পেস ২০১৮ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠালে ফিরতি এসএমএস এর মাধ্যমে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।
এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকেও জেএসসি-জেডিসির ফল জানা যাবে।
এ ছাড়া জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ই-মেইলে জেএসসি-জেডিসির ফলের সফটকপি পাঠাবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ড। প্রয়োজনে সেখান থেকেও ফলের কপি সংগ্রহ করা যাবে।
সারাবাংলা/এইচএ/একে