নোয়াখালীতে প্রচারণা গুটিয়ে ঘরে ধানের শীষ, মাঠে নৌকা
২৪ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৪:৪২
।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট।।
নোয়াখালী: সুবর্ণচর থেকে মাইজদী শহর নৌকার জয়জয়কার পোস্টারে। মাঝে মধ্যে হাতপাখা ও দেয়ালঘড়ি প্রতীকের দেখা মিলছে। ধানের শীষের এক রশি পোস্টারও নেই। এটি নিয়ে আলোচনা মাইজদী জামে মসজিদ মোড়ে চায়ের দোকানে।
চা দোকানি আলীম বলেন, শাহজাহান সাহেবকে চিনতে পোস্টার লাগবে না। তার কথায় যোগ দিয়ে আরেকজন বলেন, একরাম সাহেবকে চিনতেও পোস্টার লাগবে না।
নোয়াখালী-৪ আসনে বিএনপির এমপি প্রার্থী শাহজাহান চারবার এমপি ছিলেন। আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি একরামুল করীম বিএনপি দুর্গ ভেঙে দিয়ে এমপি হয়েছেন দুইবার।
প্রচারণা শুরুর দুই একদিন পর বিএনপি প্রার্থী নেমেছেন মাঠে। আর আওয়ামী লীগ প্রার্থী আছেন শুরু থেকে। এখন এক সপ্তাহের কম সময় তখন বিএনপি প্রার্থীর কোনো সাড়া নেই।
সোনাপুর থেকে মাইজদী আসতে মিনিট তিনেক পর পর আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কার্যালয় যেখান থেকে লাইড স্পিকারে উন্নয়ন অগ্রযাত্রার গান বাজানো হচ্ছে। বিপরীতে ধানের শীষের কোনো অফিস চোখে পড়েনি।
এক সময়ের বিএনপি দুর্গ কেন এখন নীরব? উত্তর দিলেন ধানের শীষের প্রার্থী মোহাম্মদ শাহজাহান। দুদিন ধরে তিনি প্রচারণা স্থগিত করেছেন। কারণ বের হলে পুলিশ এসে সংঘর্ষ বাঁধিয়ে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। প্রচারণা শুরুর পর একাধিক মামলায় তার অর্ধশত নেতাকর্মীকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখন সেনাবাহিনী নামার পর পরিস্থিতি দেখে তিনি নামবেন।
সুবর্ণচর এবং নোয়াখালী সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনে একরামুল করিম ও মোহাম্মদ শাহজাহানের মধ্যে সবশেষ প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় ২০০৮ সালে। টানা চারবার এমপি থাকার পর তখন ১৩ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলেন শাহজাহান।
এবার তৃতীয়বারের মতো এমপি হতে একরামুল বেশ জোরে পথসভা করছেন, জনসভা করছেন। তার ছেলে সাবাব চৌধুরীও বাবার পক্ষে নৌকায় ভোট চেয়ে সুবর্ণচর এবং নোয়াখালী সদরের প্রতিটি প্রান্তে যাচ্ছেন।
সাবাব চৌধুরী মনে করেন, মানুষ যেভাবে নৌকার পক্ষে এগিয়ে আসছে তাতে বিজয় আবারও হবে। এলাকায় যথেষ্ট উন্নয়ন হয়েছে। আবারও তার বাবা এমপি হলে যা যা করা দরকার করা হবে।
ধানের শীষ প্রার্থী শাহজাহানের ভাতিজা যুবদল নেতা সজিব বলেন, ‘এ আসনে ভোটার ধানের শীষের অতীতে যেমন ছিল এখনও আছে। কিন্তু প্রচারণায় সমস্যা হয়ে আছেন ওই দুই থানার ওসি।’
তিনি বলেন, ‘ওসিকে নিয়ে এমপি তার গাড়িতে ঘুরছেন। পোস্টার লাগালে পুলিশ গিয়ে ছিঁড়ে ফেলছে আবার যারা লাগিয়ে তাদের ধরে নিচ্ছে। এ অবস্থায় প্রচারণা-পথসভা বন্ধ। ঘরে ঘরে আমরা ধানের শীষের আহ্বান পৌঁছে দিচ্ছি।’
সারাবাংলা/একে