এবারের ভোটে ১ হাজার ১৯৫ জন প্রার্থী স্নাতক পাস
২৪ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৫:২৪
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১ হাজার ৮৭১ জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। যার মধ্যে ১ হাজার ১৯৫ জন বা ৬৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ প্রার্থী স্নাতক পাস।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের তথ্য উপস্থাপন’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) ওপরের তথ্য জানায়। জাতীয় প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সুজনের প্রধান সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার।
মূল প্রবন্ধ পাঠে দিলীপ কুমার সরকার বলেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১ হাজার ৮৭১ জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যার মধ্যে ৬৬ জন নারী ৬৭টি নির্বাচনি আসনে ভোটের মাঠে লড়াই করছেন।’
প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘মোট প্রার্থীদের মধ্যে ১ হাজার ১৯৫ জন বা ৬৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ প্রার্থী স্নাতক পর্যায়ের সনদ লাভ করেছেন। মোট প্রার্থীদের মধ্যে ৪২১ জন বা ২২ দশমিক ৮৫ শতাংশ স্বল্পশিক্ষিত বা এসএসসির নিচের পর্যায়ে পড়াশোনা করেছেন। ২৬৬ জন বা ১৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ প্রার্থী মাধ্যমিক পর্যায়ের পড়াশোনা শেষ করেছেন।’
দিলীপ কুমার সরকার বলেন, ‘১ হাজার ৮৭১ জন প্রার্থীর মধ্যে ৯৬১ জন বা ৫২ দশমিক ১৭ শতাংশ ব্যবসায়ী। এ ছাড়া আইন পেশার সঙ্গে যুক্ত আছেন ৫৬ জন বা ৮ শতাংশ।’
মামলা এবং বাৎসরিক আয় সম্পর্কে বলা হয়, ‘১ হাজার ৮৭১ জন প্রার্থীর মধ্যে ৩১৩ জন বা ১৬ দশমিক ৯৯ শতাংশের বিরুদ্ধে মামলা আছে। ১৩৬ জন প্রার্থীর বছরে আয় কোটি টাকার ওপরে, ২২৩ জনের আয় ৫০ লাখ টাকার ওপর এবং ৯৫১ জনের বছরে আয় ৫ লাখ টাকা বা তারও ওপরে।’
সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি হয়নি। হামলা, মামলাসহ একাধিক হয়রানির ঘটনায় অনেক প্রার্থীই নির্বিঘ্নে প্রচারণা চালাতে পারছেন না। ভোটারদের মধ্যে উৎসাহ থাকলেও ভোট প্রয়োগ নিয়ে সন্দেহ দূর হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে বলেই ধারণা করছি। কিন্তু ভোটের আগে প্রচারণায় যে অবস্থা চলছে তাতে শেষ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে কিনা সংশয় রয়েছে। ভোটাররা যদি নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে যেতে না পারে এবং ভোট দিতে না পারে তবে নিরপেক্ষ নির্বাচন বলা যাবে না।’
সারাবাংলা/জেআইএল/একে