।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন জানিয়েছেন, যত বাধা-বিঘ্ন আসুক না কেন, নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত থাকব। সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা বলেন।
তিনি বলেন, সংসদ সদস্য হলো জনগণের প্রতিনিধি। সঠিক জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত না হলে গণতন্ত্র থাকে না। সঠিক প্রতিনিধিরা যেন নির্বাচিত না হয়, সেজন্য গণবিরোধীরা সোচ্চার রয়েছে। জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে পরিবর্তনের জন্য, ৩০ ডিসেম্বর আমাদের পক্ষে রায় থাকবে।
নির্বাচনে সেনাবাহিনী প্রসঙ্গে ড. কামাল বলেন, অতীতে সেনাবাহিনী নিরপেক্ষ ও কার্যকর ভূমিকা রেখেছে। বিদেশে তারা প্রশংসিত হয়েছে। আশা করি তারা এই নির্বাচনেও প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি মহাসচিব ও ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আবদুল কাদের সিদ্দিকী ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি বলেন, ধানের শীষ মার্কার প্রার্থীদের মাঠে দাঁড়াতেই দেওয়া হচ্ছে না। দিন যত যাচ্ছে, পুলিশের মারমুখি আচরণ তত বাড়ছে। ভোট চাওয়াতো দূরের কথা, ঘরে ঘুমাতেও দেওয়া হচ্ছে না ধানের শীষের প্রার্থীদের। সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টির বদলে এমন অরাজক, নৈরাজ্যকর ও ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি সৃষ্টির পেছনে একতরফা নির্বাচন করার দুরভিসন্ধি কাজ করছে বলে মনে করার যথেষ্ঠ কারণ রয়েছে।
বিদেশি পর্যবেক্ষকদের প্রসঙ্গে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বিদেশি পর্যবেক্ষকদের বাংলাদেশে আসতে কৌশলে বাধা দেওয়া হচ্ছে। ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে করা হচ্ছে রহস্যজনক আচরণ। যে কারণে পর্যবেক্ষক নিয়োগ ইস্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করে যুক্তরাজ্যের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিষয়ক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মার্ক ফিল্ড বলেছেন, “বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে নাগরিক সমাজের বেশ কিছু সংগঠনকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। বিষয়টি খুবই উদ্বেগের।”
এতে আরও বলা হয়, ইউরোপ-আমেরিকার পক্ষে বিদেশি এক সংস্থার ৩২ জনের জন্য নির্বাচন পর্যবেক্ষণের অনুমতি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু এই ৩২ জনকেও বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য সময়মতো ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। নির্বাচন পর্যবেক্ষণে অনুমতি চাওয়া ৮১টি পর্যবেক্ষক সংস্থার মধ্যে ১৪টি সংস্থার বিরুদ্ধে গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন রয়েছে আর একটি বড় রাজনৈতিক দল থেকে ৪টি সংস্থার বিপক্ষে অভিযোগ করা হয়েছে- যা উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চলমান সহিংসতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা। এই পরিস্থিতিতে ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়েও তারা সংশয় প্রকাশ করেছেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নির্বাচনকে সরকার প্রহসনমূলক নির্বাচনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভোট দিয়ে কেন্দ্র পাহারা দিতে হবে: ড. কামাল
সারাবাংলা/এএইচএইচ/এটি