বিশ্বশান্তি প্রার্থনায় শুরু বড়দিনের আনুষ্ঠানিকতা
২৪ ডিসেম্বর ২০১৮ ২৩:৫৬
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব বড়দিনের প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শান্তির বারতা পরিবার থেকে সমাজ, রাষ্ট্র ও বিশ্বময় ছড়িয়ে দেওয়ার আকুতি জানিয়ে প্রার্থনায় শরিক হয়েছেন এই সম্প্রদায়ের শত, শত মানুষ। নারী-পুরুষ, শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষ অভিন্ন কণ্ঠে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনায় মিলিত হয়েছেন।
সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার পর থেকেই শুরু হয় খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিনের আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি। নগরীর বিভিন্ন গির্জায় সমবেত হতে শুরু করেন খ্রিষ্টধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষ ও শিশু।
রাত ৮টায় নগরীর পাথরঘাটা জপমালা রাণী গির্জায় মূল প্রার্থনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বড়দিন পালনের উৎসবমুখরতা। এসময় বাংলায় এই প্রার্থনায় পৌরহিত্য করেন জপমালা রাণী গির্জার পাল পুরোহিত ফাদার সুব্রত বনিফাস।
রাত ১০টা ১ মিনিটে একই গির্জায় ইংরেজিতে আরও একটি প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। এতে পৌরহিত্য করেন চট্টগ্রাম আর্চডায়োসিসের আর্চবিশপ মজেস কস্তা সিএসসি।
প্রার্থনা শুরুর আগে চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল গির্জায় আসা খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় একই গির্জায় আরও এক দফা সম্মিলিত প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে। এতেও পৌরহিত্য করবেন আর্চবিশপ মজেস কস্তা।
আর্চবিশপ মজেস কস্তা সারাবাংলাকে বলেন, বড়দিন নির্দিষ্ট কোনো ধর্মের বাঁধনে বাঁধা নয়। এটি একটি সার্বজনীন উৎসব। সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ এই উৎসবে সামিল হতে পারবে। এটাই উৎসবের সার্বজনীনতা। আমাদের বড়দিনের প্রার্থনার মূল সুরও কিন্তু শান্তির আহ্বান।
এদিকে, নগরী ও জেলায় ১৪টি গির্জায় আজ সকাল থেকে বড়দিনের প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে। গির্জাগুলো বর্ণিল আলোয় ভরে উঠেছে। গোশালা স্থাপন, রঙিন কাগজ, ফুল ও আলোর বিন্দু দিয়ে ক্রিসমাস ট্রিসহ নানা আয়োজনে সাজানো হয়েছে।
বড়দিন উপলক্ষে নগরীর তারকা হোটেলগুলোতে বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে। নগরীর হোটেল র্যাডিসন ব্লু, বে ভিউ, পেনিনসুলা, আগ্রাবাদ ও ওয়েল পার্ক রেসিডেন্সিয়াল হোটেলের লবি সাজানো হয়েছে বর্ণাঢ্য সাজে।
নগরীর গির্জাগুলোতে বড়দিন উপলক্ষে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে সারাবাংলাকে জানিয়েছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন।
ওসি বলেন, মূল গির্জাসহ আশপাশের এলাকায় শতাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এর বাইরে সাদা পোশাকে পুলিশও আছে। বিভিন্ন গির্জায় সিসিটিভি বসানো হয়েছে।
সারাবাংলা/আরডি/টিআর