Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আদালতে আটকে গেল বিএনপির প্রায় এক ডজন প্রার্থীর ভোটযুদ্ধ


২৫ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৫:৪১

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।

ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুই স্বতন্ত্রসহ বিএনপির প্রায় একডজন প্রার্থীর নির্বাচনে অংশ নেওয়া আটকে গেল উচ্চ আদালতে।

প্রার্থীতা ফিরে পেতে ১১ জনের করা আপিল আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান ‘নো অর্ডার’ দেন। ফলে এসব প্রার্থীদের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রায় অনিশ্চিত হয়ে পড়লো।

আদালতের আদেশে বিএনপির যে ১০ প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না তারা হলেন, জয়পুরহাট-১ আসনে মো. ফজলুর রহমান, রাজশাহী-৬ এর মো. আবু সাঈদ চাঁদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে মো. মোসলেম উদ্দিন, ঝিনাইদহ-২ আসনে মো. আবদুল মজিদ, জামালপুর-৪ আসনে ফরিদুল কবির তালুকদার, ঢাকা-১ আসনে খন্দকার আবু আশফাক, ঢাকা-২০ আসনে তমিজ উদ্দিন, চাঁদপুর-৪ আসনে আবদুল হান্নান, বগুড়া-৭ আসনে মিল্টন মোর্শেদ ও নীলফামারি-৪ আসনে আমজাদ হোসেন সরকার।

এই ১০ জনের মধ্যে আটজনের ক্ষেত্রে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগপত্র গৃহীত হওয়ার আগেই মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আসনের প্রার্থীরা পৃথক পৃথক রিট দায়ের করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত এ আটজনের বিষয়ে ইসির সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন। পরে হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করলে চেম্বার আদালত ‘নো অর্ডার’ দেন। ফলে হাইকোর্টের আদেশ বহাল থাকে।

এ নিয়ে আদালতের আদেশে এ পর্যন্ত সর্বোমোট ২০ জন প্রার্থীর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা আটকে গেল। এদের মধ্যে দুজন স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন, যারা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হিসেবে পরিচিত। অন্য ১৮ জন ২০-দলীয় জোট বা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী। এসব প্রার্থিতা আটকে যাওয়ায় ১৩টি আসনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোট বা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কোনো প্রার্থী নেই।

বিজ্ঞাপন

আদালতের আদেশে ইতিপূর্বে আটকে যাওয়া বিএনপির অপর আট প্রার্থী হলেন: বগুড়া-৩ আসনে আবদুল মুহিত তালুকদার, বগুড়া-৭ আসনে সরকার বাদল, মানিকগঞ্জ-৩ আসনে বেগম আফরোজা খান, সিলেট-২ (বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগর) আসনে তাহসিনা রুশদী লুনা, জামালপুর-১ (দেওয়ানগঞ্জ-বকশীগঞ্জ) আসনে এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, দিনাজপুর-৩ আসনে সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, রাজশাহী-৫ আসনে নাদিম মোস্তফা ও রংপুর-৫ আসনে বিএনপি প্রার্থী জামায়াত নেতা গোলাম রব্বানী।
ময়মনসিংহ-৮ আসনে মাহমুদ হাসান সুমন ও রংপুর-১ আসন মো. আসাদুজ্জামান আওয়ামী লীগের দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন। তবে পৃথক উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে তাদের পদত্যাগপত্র গৃহীত হওয়ার আগেই তাদের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণার বিরুদ্ধে রিট করেন সংশ্লিষ্ট আসনের অপর দুই প্রার্থী। হাইকোর্টের আদেশ আটকে যায় তাঁদেরও নির্বাচনে অংশ নেওয়া। প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল বিভাগে আবেদন করেন তারা, যা চেম্বার বিচারপতির আদালতে স্থগিত হয়ে যায়।

হাইকোর্টে বেশিরভাগ রিট আবেদনকারীরপক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক। চেম্বার আদালতে প্রার্থীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যার্টনি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।

 

সারাবাংলা/এজেডকে/আরএফ 

 

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর