।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক সাংবাদিক নীতিমালা জারি করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।
মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে বিএফইউজে সভাপতি মোল্লা জালাল, মহাসচিব শাবান মাহমুদ, ডিইউজে সভাপতি আবু জাফর সূর্য ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী এ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশন সাংবাদিকদের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে তা অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রত্যাশিত। এই সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনকেই প্রশ্নবিদ্ধ করবে।’
বিবৃতিতে সাংবাদিকরা নেতারা বলেন, ‘একদিকে নির্বাচনি সংবাদ সংগ্রহে সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল ব্যবহারের জন্য স্টিকার না দেওয়া, অন্যদিকে একাধিক গণমাধ্যমকর্মীকে একসঙ্গে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত স্বাধীন সাংবাদিকতায় হস্তক্ষেপ। এটা কখনোই কাম্য নয়। এর ফলে সাংবাদিকতা যেমন বাধাগ্রস্ত হবে, তেমনি গণতন্ত্রের বিকাশের পথেও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে।’
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, ‘সাংবাদিকদের অবশ্যই নিয়মের মধ্যে থেকে কাজ করতে হবে। কিন্তু মোটরসাইকেল ব্যবহারে বা একাধিক সাংবাদিককে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা কখনোই মেনে নেওয়ার মতো নয়।’
তারা বলেন, ‘সাংবাদিকতার নাম দিয়ে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অপ-সাংবাদিকতা করলে বা কোনো গোষ্ঠীর বিশেষ এজেন্ডা বাস্তবায়নে উদ্যোগী হলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। তবে যারা সৎ, স্বচ্ছ ও প্রকৃত সাংবাদিকতার পক্ষে তাদের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি কোনোভাবেই কাম্য নয়।’
বিবৃতিতে বিএফইউজে ও ডিইউজে নেতারা বলেন, ‘তাৎক্ষণিকভাবে সংবাদ সংগ্রহ করে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে মোটরসাইকেলের ব্যবহার সবসময় কার্যকর। বাংলাদেশে সকল নির্বাচনের ক্ষেত্রে মোটরসাইকেল ব্যবহারের জন্য সাংবাদিকদের স্টিকার দেওয়া হয়েছে। এবার তার ব্যতিক্রম ঠিক হবে না। এছাড়া সাংবাদিকরা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে পরিবেশ নষ্ট হয় না এমনভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারলে ভোটকেন্দ্রে একাধিক সাংবাদিক ঢোকায়ও বাধা দেওয়া ঠিক হবে না।’
নেতারা সাংবাদিকদের সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালনে সহযোগিতার লক্ষ্যে অবিলম্বে নির্বাচন কমিশনকে তাদের পূর্ব সিদ্ধান্ত বিবেচনার আহ্বান জানান।
তারা বলেন, ‘নির্বাচনি সংবাদ সংগ্রহে প্রকৃত সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল ব্যবহার ও ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের অবাঞ্ছিত নীতিমালা থেকে সরে এলে নির্বাচন কমিশনই লাভবান হবে।’
এছাড়া অপর এক বিবৃতিতে সংগঠন দুটি ঢাকার নবাবগঞ্জে সাংবাদিকদের ওপর হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। পাশাপাশি বিবৃতিতে ওই হামলায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়েছে।
সারাবাংলা/একে