নোয়াখালী-৪ আসনে নির্বাচনি প্রচারের চমক সাবাব চৌধুরী
২৫ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৭:৪০
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
মাইজদী, নোয়াখালী থেকে:
সুদর্শন। সুঠাম দেহ। তারুণ্যের এক নতুন দ্বীপ্তি ছড়িয়ে যাচ্ছেন। ছুটে চলছেন গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে। রাস্তায় হুডখোলা জিপ থেকে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন এলাকাবাসীকে। কখনো পাজামা-পাঞ্জাবি কখনো সুটেড হয়ে হাজির হচ্ছেন ভোটের মাঠে। এবারের নির্বাচনি প্রচারে নোয়াখালী সদর ও সুবর্ণচরে নতুন আকর্ষণ এনেছে তরুণ সাবাব চৌধুরী।
নোয়াখালী-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও সংসদ সদস্য একরামুল করীম চৌধুরীর ছেলে সাবাব চৌধুরী।দুুবারের এমপি একরামুল নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের কাণ্ডারির ভূমিকায় রয়েছেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে প্রবেশ করছেন সাবাব। এর আগে তার বাবা যখন প্রথম এমপি হয়েছিলেন—তিনি তখন একেবারে ছোট। শিশুকালে তার বাবার রাজনীতি, আন্দোলন সংগ্রাম খুব কাছে থেকে দেখেছেন। শুধু তার বাবা-ই নয়, মা শিউলী একরামও রাজনীতিবিদ। কবিরহাট উপজেলা চেয়ারম্যান তার মা।
তাকে দেখে সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘তোমাদের মতো তরুণদের আগামী দিনে রাজনীতিতে আসতে হবে। তোমরাইতো নেতৃত্ব দেবে।’
ছোটবেলা সিঙ্গাপুর ও পরে নিউজিল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন সাবাব। ওখানকার পরিবেশ-প্রতিবেশ তাকে উন্নত আচারণে অভ্যস্ত করলেও টেনে রেখে দেয়নি। সদ্য বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তন শেষেই পা রেখেছেন দেশের মাটিতে। এখন থেকে দেশে স্থায়ী তিনি। নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে তার পড়ালেখার বিষয় ছিল ব্যবসা বিষয়ে। জ্ঞানার্জনের এই বিষয় বাস্তব জীবনেও কাজে লাগাবেন। আপাতত নোয়াখালীর রাজনীতিতে তরুণ চমক হিসেবে হাজির।
সারাবাংলাকে জানালেন, রাজনীতি তিনি ছোটকাল থেকে দেখেছেন। তাদের পারিবারিক সম্পর্কও রাজনৈতিক পরিবারে বিস্তুুত হয়েছে। তার বোনের বিয়ে হয়েছে ঢাকার আলোচিত রাজনীতিবিদ হাজী সেলিমের ছেলের সঙ্গে।
সাবাবের ইচ্ছা—পড়ালেখার বিষয়ের সঙ্গে মিলিয়ে পেশা হিসেবে থাকবে ব্যবসা। বাবার ব্যবসা দেখভাল করবেন এখন থেকে। সমুদ্রে লাইটার শিপের ব্যবসা বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দেবেন।
সাবাব মনে করেন, খারাপ আচরণ নয়—ভালোবাসা দিয়ে মানুষের মন জয় করতে হয়। যে উন্নয়ন দেশে হচ্ছে তার গতিধারা সচল রাখতে আওয়ামী লীগ সরকারের বিকল্প নেই। স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক সরকার পারে একটি দেশকে সমৃদ্ধির বন্দরে পৌঁছে দিতে।
সাবাব এখন ব্যস্ত নির্বাচনের মাঠে। সকাল থেকে রাত অবধি তার যে নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণা তা তিনি ভার্চুয়ালীও প্রকাশ করেন। তার প্রচারাভিযান স্থানীয় তরুণ নেতা-কর্মীরা লাইভ করেন ফেসবুকে। তিনি নিজেও পরে প্রচরাভিযানের ছবি প্রকাশ করেন।
সাবাব বলেন, বাবা একরামুল করীমের সমর্থনে তিনি যেসব পথসভা করছেন সেগুলোতে সাধারণ মাসুষের বিপুল আগ্রহ দেখেছেন। যেসব এলাকায় যাচ্ছেন সেসব এলাকার অসমাপ্ত উন্নয়ন কাজের তালিকা করে আনছেন। যেগুলো পরে বাবার হাতে তুলে দিয়ে উন্নয়ন তরান্বিত করার কথা বলবেন।
সারাবাংলা/এমআই