গ্রামের পথে ভোটাররা, ফাঁকা হচ্ছে ঢাকা
২৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৩:৩০
।। সাদ্দাম হোসাইন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: আর চার দিন পরেই ভোট। সেই ভোটের উত্তাপ এরই মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। সেই উত্তাপ রয়েছে রাজধানীতেও। কিন্তু রাজধানীবাসীর বড় একটি অংশই ভোটার নিজ নিজ গ্রামে। তাই পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিতে এরই মধ্যে তারা ছাড়তে শুরু করেছেন রাজধানী। ফলে রাজধানীর বাস, ট্রেন ও লঞ্চ স্টেশনগুলোতে দেখা যাচ্ছে বাড়তি ভিড়।
এদিকে, এরই মধ্যে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পরীক্ষা শেষ হয়েছে, ছুটিও ঘোষণা করা হয়েছে বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদেরও বড় একটি অংশ ছেড়ে গেছেন ঢাকা। এতে করে রাজধানীর যানজটও কমেছে খানিকটা। তাতে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে নাগরিক জীবনে।
মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর কমলাপুর, সায়েদাবাদ ও মানিকনগরসহ বিভিন্ন বাস টার্মিনাল ও রেল স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, যাত্রীদের ভিড় সাধারণ দিনের তুলনায় বেশি। এরই মধ্যে বাসের টিকিট সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা। তবে ট্রেনে এখনও প্রত্যাশিত চাপ তৈরি হয়নি।
সায়েদাবাস বাস টার্মিনালে নোয়াখালীগামী পরিবহন ড্রিম লাইনের কাউন্টারম্যান কাজী রিয়াজ সারাবাংলাকে বলেন, ‘সকাল থেকে যাত্রীদের চাপ অন্যান্য দিনের তুলনায় বেশি।’
শ্যামলী পরিবহনের ফকিরাপুল-কমলাপুরের ইনচার্জ আশ্রাফ আলী বলেন, ‘যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে। তবে টিকেট সংকট দেখা দেয়নি এখনও। অনেকেই তো এখনও ছুটি পাননি। তারা ছুটি পেলে চাপ আরও বাড়তে পারে। কাল-পরশু হয়তো টিকিটের সংকট দেখা দিতে পারে।’
কক্সবাজারের সাইফুল ইসলাম রাজধানী থেকে ফিরছেন বাড়িতে। সায়েদাবাদে বাসের জন্য অপেক্ষমাণ সাইফুল বলেন, ‘সৌদিয়া পরিবহনের টিকেট কাটলাম সকাল ১০টায়। এখন সাড়ে ১১রটা বাজে, বাস আসেনি এখনও। আর কতক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে, জানি না। শুনছি আন্তঃজেলা রুটে তাদের অনেক বাস ঢাকার বাইরে যানজটে আটকা পড়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভোট দিতে গ্রামের যাওয়ার জন্য ১ তারিখ পর্যন্ত পাঁচ দিনের ছুটি নিয়েছি। কিন্তু আজ (মঙ্গলবার) সরকারি ছুটি থাকায় আজই রওয়ানা দিয়েছি।’
কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়াগামী যাত্রী নুর আলম সারাবাংলাকে বলেন, ‘ভোটের তো আর বেশি দিন বাকি নেই। বাচ্চাদের স্কুলও বন্ধ। তাই দু’দিন আগেই বাড়ি যাচ্ছি পরিবার নিয়ে।’ তবে বাড়ি যাওয়াটা মূলত ভোটের জন্যই— বলেন তিনি।
কমলাপুর রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা শীতাংশু চক্রাবর্তী সারাবাংলাকে বলেন, ‘নির্বাচন উপলক্ষে আগের চেয়ে যাত্রীর চাপ অনেকটা বেড়েছে। যাত্রীদের চাপ মোকাবিলায় প্রয়োজনে ট্রেনগুলোতে বাড়তি বগি সংযুক্ত করব।’
প্রয়োজনে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
সারাবাংলা/এসএইচ/একে/টিআর