Friday 16 May 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সিইসি’র পদত্যাগ দাবি করেছে ঐক্যফ্রন্ট


২৫ ডিসেম্বর ২০১৮ ২০:৩৪ | আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮ ২২:১১

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: যুক্তিগ্রাহ্য ও প্রমাণসিদ্ধ বিষয়গুলো অগ্রাহ্য করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ক্ষমতাসীন দলের নেতার ভাষায় কথা বলেছেন- এমন অভিযোগ এনে তার পদত্যাগ দাবি করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

তিনি বলেন, ‘আজ বেলা ১২ টায় ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য কমিশনার ও কমিশন সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে সারাদেশে বিরোধী দলীয় প্রার্থীগণ এবং তাদের সমর্থকদের সাথে সরকার দলীয় সন্ত্রাসী ও পুলিশের অন্যায়, অসাংবিধানিক ও মারমুখী আচরণ এবং দৈহিকভাবে নির‌্যাতন-নিপীড়নের বিষয়টি প্রমাণসহ উত্থাপন করা হয়।’

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আলোচনায় ড. কামাল হোসেনসহ অন্যান্য জাতীয় নেতারা সরকারের প্রশাসন ও পুলিশের ক্রমাগত অসহযোগিতা এবং বহু ক্ষেত্রে আক্রমণকারী সরকারি দলের সন্ত্রাসীদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে আক্রমণের শিকার বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করার  বিষয়ে দিন, তারিখ, স্থান উল্লেখ করে অভিযোগ জানান।’

‘কিন্তু অত্যন্ত ক্ষোভের সঙ্গে আমাদের বলতে ইচ্ছে হচ্ছে যে,  ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের যুক্তিগ্রাহ্য ও প্রমাণসিদ্ধ বিষয়গুলিকে অগ্রাহ্য করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ক্ষমতাসীন দলের নেতার ভাষায় অভিযোগগুলোকে অস্বীকার করে পক্ষপাত দুষ্ট ও অসৌজন্যমূলক বক্তব্য দিলে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা শুধু ক্ষুব্ধ নন, বিস্মিত ও হতাশ হন’- বলেন নজরুল ইসলাম খান।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের মতো একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান এমন অযৌক্তিক ও দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য দিতে পারেন, তা অবিশ্বাস্য মনে হয়েছে। এই ঘটনায় স্পষ্টতই প্রমাণ হয়, প্রধান নির্বাচন কমিশনার সরকারের বাধ্যগত একজন কর্মচারীর চেয়ে বেশি কিছু নন। তার কাছ থেকে নিরপেক্ষ আচরণ পাওয়ার কোনো সম্ভবনা নেই।’

‘এমতাবস্থায় সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে অবিলম্বে তার (সিইসি) পদত্যাগ দাবি করছি এবং যথার্থই একজন নিরপেক্ষ লোককে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে দাবি জানাচ্ছি’- বলেন নজরুল ইসলাম খান।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘গোটা জাতি যখন ৩০ তারিখে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায়, ঠিক সেই সময় এই নির্লজ্জ, অযোগ্য, অকার্যকর নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে। সুতরাং আমরা অবিলম্বে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ চাই। তা নাহলে কোনো মতেই এই নির্বাচনে ন্যুনতম পরিবেশ তৈরি হবে না।’

পদত্যাগের জন্য কোনো সময়সীমা বেঁধে দিচ্ছেন কী না?- এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা এই মুহূর্তে পদত্যাগ চাই।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, গয়েশ্বরচন্দ্র রায়, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, সহ-সভাপতি জগলুল হায়দার আফ্রিকসহ অন্যরা।

সারাবাংলা/এজেড/এটি

আরও পড়ুন: গুলশানে বিএনপি-ঐক্যফ্রন্ট বৈঠক, মাথায় ৮ সেলাই নিয়ে হাজির গয়েশ্বর

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর