কোনো কমিশনার একক নির্দেশনা দিতে পারেন না: এইচ টি ইমাম

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: কোনো নির্বাচন কমিশনার এককভাবে কোনো নির্দেশনা দিতে পারেন না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম।

বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার সঙ্গে আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি দলের বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

এইচ টি ইমাম বলেন, ‘সকালে গণমাধ্যমে একজন কমিশনারের বক্তব্য শুনেছি। আমরা নিজেরাই হচকচিত হয়ে গেছি। কারণ একজন কমিশনার এককভাবে কোনো নির্দেশনা দিতে পারেন না। যা সিদ্ধান্ত হবে সে বিষয়ে নির্দেশ দেবেন পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার সে সিদ্ধান্ত জানাবেন। কমিশন থেকে বের হয়ে আরেকজন ব্যক্তিগত মত দেবে তা গ্রহণযোগ্য নয়। তবে চেইন অব কমান্ড মানা হচ্ছে না সেটি আমরা মনে করি না।’

এর আগে তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে।

এইচ টি ইমাম বলেন, ‘কমিশন বৈঠকে কোনো কমিশনার ভিন্নমত প্রকাশ করতে পারেন, কিন্তু তিনি তা বাইরে এসে বলতে পারেন না। এতে করে মানুষের কাছে ভুল বার্তা যেতে পারে। কারণ কমিশনের মর্যাদা রক্ষা করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘অর্থ এবং পেশি শক্তি নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়। পেশি শক্তি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে প্রশাসন। সেটা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কিন্তু অর্থের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। গতকালও বড় একটি চালান এসেছে হুন্ডির মাধ্যমে। নির্বাচনের আগের দিন ও পরের দিন টাকা লেনদেন নিয়ন্ত্রণ করা যায় কিনা, সেটি দেখার জন্য কমিশনকে বলেছি। ভোট কেনাবেচায় এটি ব্যবহৃত হতে পারে।’

এনজিও পর্যবেক্ষণ ব্যুরো থেকে দেখলাম ১১৯টির মধ্যে ৭৫টির নিবন্ধন নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অধিকারের বিষয়েও মামলা আছে, এনজিও ব্যুরো বলছে তাদের নিবন্ধন নেই। তাদের আচরণ ও কথাবার্তায় তারা বিকৃত তথ্য দিয়ে যেগুলো রীতিমত নির্বাচন কমিশন নয় রাষ্ট্রের জন্য অপমানজনক। এনফেলের লোকাল চ্যাপটার অধিকার, এর চেয়ারম্যান আদিলুর রহমানের বিরুদ্ধেও মামলা আছে। এনফেল এবং অধিকার এক ও অদ্বিতীয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যানবাহন চলাচল শিথিল করতে বলেছি। সাংবাদিকদের চলাচলে বিঘ্ন না ঘটে এবং মোটরসাইকেলের জন্য যাতে পাসের ব্যবস্থা করা হয় সেটি আমরা অনুরোধ জানিয়েছি। এছাড়াও আমাদের ও সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য শিথিলতা চেয়েছি। কারণ আমাদের কমিশনে আসতে হবে ও অন্যান্য জায়গায় চলাচল করতে হবে। সে জন্য আমরা যানবাহন চলাচল কিছুটা শিথিলতা চেয়েছি।’

ঐক্যফন্টের সঙ্গে কমিশনের বৈঠকের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা কমিশনকে বলেছি আপনারা সবচেয়ে উঁচু প্রতিষ্ঠান। আমরা টেবিলও চাপড়াবো না, আর ধমকও দেবো না।’

এসময় প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা মশিউর রহমান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী সদস্য রিয়াজুল কবির কাওসার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/জিএস/এমও