।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের সব ধরনের প্রচার, প্রচারণা ও সভা সমাবেশ করার সময়সীমা শেষ হচ্ছে শুক্রবার (২৮ ডিসেম্বর)। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ (আরপিও) অনুযায়ী ভোটগ্রহণ শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগে থেকে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত সব ধরনের প্রচার প্রচারণা ও সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ।
আগামী রোববার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কোন ধরনের বিরতিছাড়া ভোটগ্রহণ চলবে। সে হিসেবে শুক্রবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার (১ জানুয়ারি) বিকাল ৪টা পর্যন্ত কোনো নির্বাচনি এলাকায় যে কোনো ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল ও শোভাযাত্রা করা যাবে না।
নির্বাচনে প্রার্থীর সংখ্যা
এবার ৩০০ আসনের পরিবর্তে ২৯৯টি আসনে ভোটগ্রহণ চলবে। শুধুমাত্র গাইবান্ধা-৩ আসনে ভোটগ্রহণ হবে না। কারণে ওই আসনের ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে ভোটগ্রহণ পিছিয়ে ২৭ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে।
মোট ৩০০ আসনে ১ হাজার ৮৪১ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে গাইবান্ধা–৩ আসন বাদে প্রার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৮৩১ জন। এরমধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে ১ হাজার ৭৪৫ জন এবং অবশিষ্ট ৯৬ জন স্বতন্ত্র হিসেবে অংশ নিচ্ছেন।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে ইসিতে নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দলের সবগুলো দলই অংশ নিচ্ছে। নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি প্রার্থীর সংখ্যা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর। হাতপাখা প্রতীকে এই দলটির প্রার্থীর সংখ্যা ২৮১ জন।
নির্বাচনে মোট ভোটার, কেন্দ্র ও ভোট কক্ষের সংখ্যা
এবার নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ১০ কোটি ৪২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৭৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ কোটি ২৫ লাখ ৭২ হাজার ৩৬২ জন, মহিলা ভোটার ৫ কোটি ১৬ লাখ ৬৬ হাজার ৩১১ জন। এর মধ্যে নতুন প্রায় ১ কোটি ২৩ লাখ ভোটার প্রথমবারের মতো জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেবেন। নির্বাচনে মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৪০ হাজার ১৮৩ টি এবং ভোট কক্ষের সংখ্যা ১ লাখ ৯৫ হাজার ৩১৬ জন।
৬টি সংসদীয় আসনে ইভিএমে ভোট
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৬টি সংসদীয় আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহার করে ভোট গ্রহণ হবে। আসন ছয়টি হলো : ঢাকা-৬, ঢাকা-১৩, চট্টগ্রাম-৯, রংপুর-৩, খুলনা-২ এবং সাতক্ষীরা-২। আসনগুলোতে ৪৮ জন প্রার্থী নির্বাচন অংশ নিয়েছেন। এসব আসনে মোট ভোটার ২১ লাখ ২৪ হাজার ৫৪৪ জন। পুরুষ ভোটার ১০ লাখ ৮৫ হাজার ৫২জন, মহিলা ভোটার ১০ লাখ ৩৯ হাজার ৫০২ জন। এসব ভোটার ইলেকট্রোনিক ভোটিং মেশিনের মাধ্যমে (ইভিএম) ভোট দেবেন। আসনগুলোর ৮৪৫টি কেন্দ্রের ৫ হাজার ৩৮টি ভোট কক্ষে ইভিএম থাকবে।
নির্বাচনে মেট্রোপলিটন এলাকায় প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে পাহারায় থাকবেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৬ জন সদস্য। এর মধ্যে অস্ত্রসহ পুলিশ সদস্য তিন জন, অঙ্গীভূত আনসার সদস্য ১২ জন ও একজন করে থাকবেন গ্রাম পুলিশ। অন্যদিকে ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রগুলোতে বাড়তি দুই পুলিশ সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য থাকবেন মোট ১৮ জন।
সারাবাংলা/জিএস/এসএমএন