‘হামরা নৌকা মার্কাত ভোট দিমো’
২৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ১২:৫৭
।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
দিনাজপুর: “বারে হামরা সাধারণ কৃষক। মাথার ঘাম পায়োত ফেলি পরিশ্রম করি জমিত ফসল ফলাই। হামার বিপদ-আপোদোত আওয়ামী লীগ সরকার সোক-সময় ছিলি। আগত সার-বীজসহ কিছুই পাইতনা কৃষক। এলা আর সার-বীজের তনে কৃষক মরার নাগে না। নৌকা মার্কাই হামার এত্তি টানা কারেন্ট (বিদ্যুৎ) দিছে। আস্তা-ঘাট বানাই দিছে। আওয়ামী লীগ সরকার হামার এলাকাত মেলা কাম-কাজ কইরছে। এইতোনে হারা নৌকা মার্কাত ভোট দিমো”- কথাগুলো দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার আমতলী এলাকার কৃষকদের।
ভাঙা নড়বড়ে বেঞ্চে বসে চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে কথাগুলো বলছিলেন মো. জবেদ আলী। চায়ের দোকানে থাকা বাকি কৃষকরাও তার কথায় সায় দিচ্ছিল।
গণমাধ্যমকর্মীর পরিচয় পেয়ে জবেদ আলী আরও একটু আগ্রহ নিয়ে জানান, গত বন্যার পর যে ক্ষতি হয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকারের কারণে তা কাটিয়ে উঠতে বেশি সময় লাগেনি। সার-কীটনাশক সহজেই কৃষকের হাতে পৌঁছেছে। চলতি মৌসুমে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় জমিতে সেচ দিতে পারছিলেন না স্থানীয় কৃষকরা, এতে হুমকির মুখে পড়ে আমন। কিন্তু সরকার নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা করায় স্বল্প খরচে সময় মতো জমিতে সেচ দিতে পেরেছেন তারা। কাঁচা রাস্তাগুলো পাকা হয়েছে, হয়েছে ব্রিজ-কালভার্ট। তাই কৃষকের হাসি মুখ।
দিনাজপুর-৪ (চিরিরবন্দর-খানসামা) আসনের ভোটার তারা। এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে দাঁড়িয়েছন আখতারুজ্জামান মিয়া। ২০০৮ সালে সংসদ নির্বাচনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পরাজিত হন আখতারুজ্জামান মিয়া। আবুল হাসান মাহমুদ আলী পেয়েছিলেন ১ লাখ ১৮ হাজার ১৮৮ ভোট।
জবেদ আলী বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে কৃষকদের দীর্ঘ দিনের সেচ সমস্যার সমাধান হয়েছে। মোহনপুর রাবার ড্যাম নির্মাণের কারণে উপজেলার কয়েক হাজার অনাবাদি জমিতে আজ ফসল হচ্ছে। উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখতে স্থানীয় কৃষকরা এবারও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকেই ভোট দেবে।
সারাবাংলা/এটি