আনাক ক্রাকাতোয়ায় অগ্ন্যুৎপাত, সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি
২৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৪:৪৬
।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।
ইন্দোনেশিয়ার আনাক ক্রাকাতোয়া আগ্নেয়গিরির জরুরি সতর্কতার মাত্রা দ্বিতীয় থেকে সর্বোচ্চ তৃতীয় পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকটি অগ্ন্যুৎপাতের পর সতর্কতা মাত্রা বৃদ্ধি করেছে কর্তৃপক্ষ। খবর বিবিসির।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ আগ্নেয়গিরিটির আশপাশ দিয়ে যাওয়া সকল যাত্রীবাহী বিমানকে ঘুরে যেতে বলেছে। আনাক ক্রাকাতোয়ার আশপাশের পাঁচ কিলোমিটার এড়িয়ে চলতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা (বিএনপিবি) জানিয়েছে, জরুরি সতর্কতার মাত্র দ্বিতীয় থেকে তৃতীয় করা হয়েছে। সম্প্রতি আগ্নেয়গিরির ভেতরে সক্রিয়তা বৃদ্ধি পেলে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (২২ ডিসেম্বর) আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের প্রভাবে একটি সুনামির সৃষ্টি হয়। এতে প্রাণ হারান ৪০০’র বেশি মানুষ।
ভলকানোলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্দোনেশিয়ার তথ্য উদ্ধৃত করে বিএনপিবি বলেছে, আনাক ক্রাকাতোয়ার অভ্যন্তরে সক্রিয়তা ক্রমে বেড়েই চলেছে। এজন্য এর আশপাশের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ২ থেকে ৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এই সীমার মধ্যে পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ।
এদিকে ইন্দোনেশিয়ার আকাশপথে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ সংস্থা এয়ারনাভ ইন্দোনেশিয়া জানিয়েছে, তারা আগ্নেয়গিরির আশপাশ দিয়ে বিমান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে। কেননা, অগ্ন্যুৎপাতে নির্গমন হওয়া ছাই দিয়ে আশপাশ দিয়ে ঢাকা পড়ে গেছে। এতে অন্তত ২৫টি ফ্লাইট আক্রান্ত হয়েছে।
সুনামি
ইন্দোনেশিয়ার আনাক ক্রাকাতোয়া আগ্নেয়গিরির উদগিরণের ফলে সৃষ্ট সুনামিতে অন্তত ৪২৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন আরও ১৫০ জন। আহত হয়েছেন আরও ১৪৫৯ জন। দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ একথা জানিয়েছে।
শনিবার (২২ ডিসেম্বর) সুনামির আঘাতে ভেসে যায় ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা ও জাভা দ্বীপের উপকূলীয় শহরগুলো। ধারণা করা হচ্ছে, আগ্নেয়গিরির উদগিরণের ফলে সমুদ্রের তলদেশে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। যার প্রভাবে সৃষ্টি হয়ে দানবীয় ঢেউয়ের। আর এক সময় তা সুনামির রূপে আঘাত হানে ইন্দোনেশিয়ার সান্দা স্ট্রেইট উপকূলে।
প্রশান্ত মহাসাগরকে ঘিরে থাকা ভূমিকম্প ও অগ্ন্যুৎপাতের লাইন ‘রিং অফ ফায়ার’ অবস্থিত হওয়ার কারণে প্রায়ই সুনামির শিকার হয় ইন্দোনেশিয়া।
সারাবাংলা/ আরএ