।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: নির্বাচনে কোনো সহিংসতা করলে জনগণই তা প্রতিহত করবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা-৯ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেন, আমার এলাকার মানুষ শান্তির পক্ষে অবস্থান নিয়ে ফেলেছে। তারা উন্নয়ন চায়। হানাহানি-সহিংসতা মোটেও পছন্দ করে না, সন্ত্রাস পছন্দ করে না। কোনো সহিংসতা হলে এলাকার মানুষই সেটা প্রতিরোধ করবে। জনগণই তা প্রতিহত করবে।
নির্বাচনি প্রচারণার শেষ দিন বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে নিজ এলাকায় এক বর্ণাঢ্য র্যালি শুরুর আগে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
খিলগাঁওয়ের শাহ মসজিদের সামনে থেকে বিশাল এই বর্ণাঢ্য র্যালি ও মিছিলটি শুরু হয়। দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে মিছিলটিকে খিলগাঁও শাহী মসজিদ, পুলিশ ফাঁড়ি, খিলগাঁও রেলগেট, জোড়পুকুর মাঠ, তিলপাপাড়া, প্রভাতীবাগ, তারাপুর, শান্তিপুর, গোড়ান, মাদারটেক, সবুজবাগ ও বাসাবো এলাকা প্রদক্ষিণ করতে দেখা গেছে।
মিছিলটির অগ্রভাগে একটি গাড়িতে ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবের হোসেন চৌধুরী। সঙ্গে ছিলেন তার পরিবারের সদস্যরাও। খোলা গাড়িতে করে সাবের ও তার পরিবারের সদস্যরা ভোটারদের উদ্দেশে হাত নাড়তে থাকেন। এসময় বিভিন্ন বাসা-বাড়ির বাসিন্দাদেরও হাত নাড়তে দেখা গেছে। কোনো কোনো বাসার বারান্দা বা ছাদ থেকে মিছিলের স্থিরচিত্র বা ভিডিও ধারণ করা হচ্ছিল। মিছিলে অনেককেই নাচতে দেখা যায় গানের তালে। শিশুদেরও নাচতে দেখা যায়। র্যালিতে থাকা একাধিক পিকআপে নৌকার স্লোগান ও গান চলছিল। একটি ডিজিটাল স্ক্রিনে দেখানো হচ্ছিল গত ১০ বছরের উন্নয়নও। এতে ঢোল ও বাদ্যের তালও ছিল। বিশাল এই শোডাউনে খিলগাঁও ও এর আশেপাশের এলাকায় যানজট দেখা যায়। নির্বাচনি প্রচারণার শেষ বিকেলে প্রায় স্থবির হয়ে পড়ে খিলগাঁওয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকা।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘আমরা অনেক পরিশ্রম করেছি। আমাদের কর্মীরা মাঠ পর্যায়ে প্রচুর কাজ করেছে। আমরা আশা করছি, তার একটি ভালো ফল ৩০ তারিখের নির্বাচনে পাব।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের যে মেসেজটা ছিল, তা হচ্ছে ইতিবাচক। আমরা শান্তির পক্ষে, উন্নয়নের পক্ষে। বিগত ১০ বছরে যে কাজগুলো করেছি, তার ধারাবাহিকতায় আগামীতেও আরও কাজ করব।’
এলাকার উন্নয়নের কিছু পরিকল্পনা তুলে ধরে সাবের হোসেন আরও বলেন, ‘ভবিষ্যতে পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করা হবে। নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা করা হবে। একাধিক কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হবে। বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা প্রশস্ত করা হবে।’
‘আমাদের এলাকায় প্রায় ১৮ লাখ লোক বসবাস করে। আমার ধারণা, এর মধ্যে ১০ থেকে ১২ লাখ মানুষকে প্রতিদিন অন্য এলাকায় যাতাোত করতে হয়। তাই আমাদের পরিবহন ব্যবস্থাকে আরও আধুনিক করতে হবে। মানুষ যেন স্বল্প খরচে দ্রুত এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে পারে, সেটার জন্য যদি প্রয়োজন হয় মেট্রোরেল বা পাতাল ট্রেন, তার একটি সংযোগ আমাদের এলাকায় করতে পারি’— বলেন ঢাকা-৯ আসনের আওয়ামী লীগের এই প্রার্থী।
সাবের হোসেন আরও বলেন, ‘তিনটি ইউনিয়ন আমাদের এখানে আছে। তিনটি ইউনিয়নকে নগর পরিকল্পনার মধ্যে নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে। পরিকল্পিতভাবে এলাকার উন্নয়ন করতে চাই। সন্ত্রাস, মাদক ও ভূমি দখলের ক্ষেত্রে আমরা অতীতের মতো আপসহীন থাকব। মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার থাকবে।’
ছবি: সুমিত আহমেদ
সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর