Friday 09 May 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ডিসেম্বরে জামায়াত-বিএনপির হামলায় ৫ আ.লীগ কর্মী নিহত, আহত ৪৪১


২৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ২২:৫২

।। সারাবাংলা ডেস্ক ।।

ঢাকা: সারাদেশে নির্বাচন পূর্ববর্তী সহিংসতায় জামায়াত-বিএনপির সন্ত্রাসীদের হামলায় আওয়ামী লীগের ৫ জন নেতা-কর্মী নিহত ও অন্তত ৪৪১ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির মিডিয়া উপকমিটি থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।

ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সারাদেশে ১ থেকে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সন্ত্রাসীদের হামলায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৫ জন নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া কমপক্ষে ৪৪১ জন আহত হয় বলে বিভিন্ন গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশ করেছে।’

‘গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী এ সময় পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা ১৭০টি আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ও বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুর চালায়। তারা ৪৪টি আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বোমা হামলা ও গুলি চালায়। বিএনপি-জামায়াত ক্যাডাররা আওয়ামী লীগের ৬৮টি নির্বাচনি অফিসে অগ্নিসংযোগ করে এবং ১১টি স্থানে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের মোটর শোভাযাত্রায় হামলা চালায়। এ ছাড়া বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা ৪টি স্থানে পুলিশের ওপর আক্রমণ করে।’

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আজ পর্যন্ত মোট ৫১টি জেলার ৯০টি সংসদীয় আসনে বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসীরা হত্যা, হামলা, ভাঙচুর, বোমা বিস্ফোরণ ও অগ্নিসংযোগ করেছে।’

এ ছাড়াও একই বিবৃতিতে সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে আহত ও নিহত আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যও দেওয়া হয়েছে।

নিহত আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে আছে:

২২ ডিসেম্বর পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় আওয়ামী লীগের নির্বাচনি প্রচারণা মিছিলে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্ট ক্যাডাররা বোমার বিস্ফোরণ ঘটালে তোফাজ্জল হোসেন মণ্ডল নামের একজন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

বিজ্ঞাপন

১১ ডিসেম্বর ফরিদপুরের সদর উপজেলার গোয়ালডাঙ্গিতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের হামলায় নর্থ চ্যানেল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ইউসুফ আল মামুন (৪০) নিহত হন। (দি ডেইলি স্টার)

১০ ডিসেম্বর নোয়াখালীতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের হামলা ও গুলিতে সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ নিহত হন এবং আওয়ামী লীগের আরও ১০ জন নেতা-কর্মী আহত হন। (প্রথম আলো)

৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম ও নওগাঁতে ২ জন আ.লীগ নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। তারা হচ্ছেন নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইশাহাক হোসেন, চট্টগ্রামের কলাগাঁও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জামাল উদ্দিন। (বাংলাদেশ প্রতিদিন)

আহত আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের তালিকা:

২৬ ডিসেম্বর: মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় আওয়ামী লীগের ১টি নির্বাচনি কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে। (বাংলা নিউজ নেটওয়ার্ক)। ঢাকার সাভারে আওয়ামী লীগের ১টি নির্বাচনি কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে (এটিএন বাংলা)। মাগুরার শালিখা ও মোহাম্মদপুরে বিএনপির হামলায় আওয়ামী লীগের ১০ জন আহত, ৪টি অফিস ভাঙচুর ও ১টি স্থানে বোমা হামলা করা হয়েছে (যায়যায়দিন)। নেত্রকোণার মদনে বিএনপির হামলায় আওয়ামী লীগের ২৫ জন আহত ১টি স্থানে বোমা হামলা করা হয়েছে। (সমকাল)। সিলেটের গোলাপগঞ্জে বিএনপির হামলায় আওয়ামী লীগের ৪ জন আহত হয়েছে (সমকাল)। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড, সাতকানিয়া, মাদাম বিবির হাট ও হাটহাজারিতে বিএনপির হামলায় আওয়ামী লীগের ১৫ জন আহত, ১টি স্থানে বোমা হামলা ও ১টি অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে করা হয়েছে। (প্রথম আলো, যুগান্তর, সমকাল, যায়যায়দিন)। নড়াইলের লোহাগড়ায় বিএনপির হামলায় আওয়ামী লীগের ১ জন আহত ও ১টি স্থানে বোমা হামলা করা হয়েছে (যুগান্তর)। ময়মনসিংহের গৌরিপুরে ১টি স্থানে বোমা হামলা করা হয়েছে (যায়যায়দিন)। কিশোরগঞ্জের কটিয়াদিতে বিএনপির হামলায় ৪ জন পুলিশ আহত  (যায়যায়দিন)। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ১টি স্থানে অগ্নি সংযোগ করা হয়েছে  (যায়যায়দিন)। শেরপুর সদরে আওয়ামী লীগের গাড়িবহরে হামলা করা হয়েছে (যায়যায়দিন)। রাজশাহীর পোবা ও গোদাগারীতে ৩টি স্থানে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে (যায়যায়দিন)। সাতক্ষীরার তালায় ১টি স্থানে বোমা ও ১টি স্থানে অগ্নি সংযোগ করা হয়েছে (ভোরের কাগজ)। পটুয়াখালির বাউফলে আওয়ামী লীগের ১টি অফিসে ভাঙচুর করা হয়েছে (ভোরের কাগজ)। সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ও নওগার রাণীনগরে ২টি অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে (ভোরের কাগজ)। মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় আওয়ামী লীগের ১টি অফিসে ভাঙচুর ও ১টি স্থানে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে (ইত্তেফাক)। ঝিনাইদহের মহেশপুর, নীলফামারিতে ও ঢাকার নবাবগঞ্জে ১ জন আহত এবং আওয়ামী লীগের ২টি অফিসে ভাঙচুর করা হয়েছে (ইত্তেফাক)। ঝালকাঠির রাজাপুর, যশোরের গৌরিখোনা ও রাজশাহীর হরিয়ান, মোহনপুরে বিএনপি জামায়াতের সন্ত্রাসীরা আওয়ামী লীগের ২টি অফিস ভাঙচুর, ৬টি স্থানে অগ্নিসংযোগ ও ১টি স্থানে বোমা হামলা করে (আলোকিত বাংলাদেশ)।

বিজ্ঞাপন

এ ছাড়াও কক্সবাজারের বাড়ুয়াখালিতে পুলিশের ওপর বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীদের হামলায় ২ জন পুলিশ আহত হয়েছে (ডেইলি স্টার)।

২৫ ডিসেম্বর: লক্ষ্মীপুরের কুশাখালীতে বিএনপির হামলায় আওয়ামী লীগের ২০ জন আহত  হয়েছে (আলোকিত বাংলাদেশ-২)। নোয়াখালীর সেনবাগে বিএনপির হামলায় আওয়ামীগের ২ টি অফিসে ভাঙচুর ও ১ টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে (ইত্তেফাক ১৫)। ঠাকুরগাঁও এর পীরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ১টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে (ভোরের কাগজ-২)। বরিশালের বানারীপাড়া ও মেহেন্দিগঞ্জে বিএনপির হামলায় আওয়ামী লীগের ১৬ জন আহত হয়েছেন ও অফিস ভাঙচুর ১টি, বোমা হামলা ১টি, অগ্নিসংযোগ ১টি করা হয়েছে (ইত্তেফাক-১৫)। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদরে বিএনপির হামলায় আওয়ামঅী লীগের ৩ জন আহত, মিছিলে হামলা করা হয় ও ১টি স্থানে অগ্নি সংযোগ করা হয়েছে (যুগান্তর-১৫ ও জনকন্ঠ-২)। জয়পুরহাট সদর এবং কালাই  আওয়ামী লীগের অফিসে হামলা চালানো হয় ও ১টি স্থানে গুলিবর্ষণ ও ১টি অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে (যুগান্তর-১৫)। সিলেট-১ আসনে আওয়ামী লীগের নিবার্চনি প্রচারণায় বোমা হামলা করা হয়েছে (সমকাল-১৭)। মাগুরার মোহাম্মদপুরে ২টি  অফিসে ও ১টি স্থানে অগ্নি সংযোগ করা হয়েছে (সমকাল-১৭)। ময়মনসিংহের ভালুকায় ১টি অফিসে হামলা ও ১টি স্থানে অগ্নি সংযোগ করা হয়েছে (সমকাল- ১৭)। চট্টগ্রামের লোহাগড়া, বোয়ালখালী ও সীতাকুন্ডে আওয়ামীলীগের ১টি অফিস ভাঙচুর ও ২টি স্থানে অগ্নি সংযোগ করা হয়েছে (প্রতিদিনের সংবাদ-১১, যায়যায়দিন-২, জনকন্ঠ- ২)। রাজশাহীর গোদাগাড়িতে ১টি স্থানে অগ্নি সংযোগ করা হয়েছে (জনকণ্ঠ-২)। বরগুনার আমতলীতে ১টি স্থানে অগ্নি সংযোগ করা হয়েছে (জনকণ্ঠ-২)। মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়িতে ও ৫টি স্থানে অগ্নি সংযোগ করা হয়েছে (জনকণ্ঠ-২)। কুমিল্লার লাঙ্গলকোটে ১ জন আহত হয়েছেন (প্রতিদিনের সংবাদ- ১১)। জামালপুরের ইসলামপুরের একটি স্থানে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে (যায় যায় দিন-২)। ফেনীর সোনাগাজীতে হামলায় আওয়ামী লীগের  ২ জন আহত হয়েছেন (যায় যায় দিন-২)।

২৪ ডিসেম্বর: মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়িতে আওয়ামী লীগের ৫টি নির্বাচনি কার্যালয়ে হামলা (সময় টিভি।মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় আওয়ামী লীগের ৩ নেতা-কর্মী আহত ও ১টি নির্বাচনি কার্যালয় ভাঙচুর (ডিবিসি টিভি)। চুয়াডাঙ্গার আলফাডাঙ্গায় ২টি ককটেল বোমা হামলায় ২ জন আওয়ামী লীগ কর্মী আহত (ডিবিসি টিভি)। চাঁদপুরে দিপু মনির বাসায় হামলা। আওয়ামী লীগের ১০ জন আহত (বিডিনিউজ২৪ডটকম) জয়পুরহাটে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ১ ককটেল বোমা হামলা (ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি)।

২৩ ডিসেম্বর: পাবনা-৩ আসনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বোমা হামলা ও গুলিতে আওয়ামী লীগের ৫  নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। পাবনার ভাগুয়ায় ককটেল হামলায় ৩ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের ১টি নির্বাচনি ক্যাম্পে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে (নিউ এজ, দ্বিতীয় পৃষ্ঠা), দৈনিক ইত্তেফাক, সমকাল)। কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায় ককটেল হামলায় আওয়ামী লীগের ৫ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। নাঙ্গলকোটে আওয়ামী লীগের প্রচারণা গাড়িতে হামলায় আহত হয়েছেন ১ কর্মী। কুমিল্লা-৭ আসনে বোমা বিস্ফোরণে ৫ জন আহত হয়েছেন (দৈনিক দেশ রুপান্তর, পঞ্চম পৃষ্ঠা; দৈনিক ইত্তেফাক ও ডেইলি স্টার)।ময়মনসিংহের গৌরীপুরে আওয়ামী লীগের ২টি কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। ফুলপুরে ককটেল হামলায় আহত হয়েছেন ৫ জন নেতা-কর্মী। এছাড়া মুক্তাগাছায় ২টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে (দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক সংবাদ (পঞ্চম পৃষ্ঠা) ও সমকাল। সিলেট-১ আসনে আওয়ামী লীগের ১টি অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে (ডেইলি স্টার)। রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় আওয়ামী লীগের ১টি অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে (যায়যায়দিন-ষোড়শ পৃষ্ঠা)। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের ১টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। নোয়াখালী-৪ আসনে গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় ৮ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন (দৈনিক ইত্তেফাক, প্রথম আলো (চতুর্র্থ পৃষ্ঠা)। ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় ৩টি নির্বাচনি অফিসে বোমা হামলা করা হয়েছে (দৈনিক ইত্তেফাক)। ভোলার লালমোহন উপজেলায় ৩ জন যুবলীগ নেতাকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে (দৈনিক ইত্তেফাক)। রংপুরের পীরগাছা উপজেলায় আওয়ামী লীগের ১টি অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে (দৈনিক ইত্তেফাক)। জয়পুরহাট-১ আসনে আওয়ামী লীগ অফিসে ককটেল হামলা করা হয়েছে (প্রথম আলো)। বরিশালের উজিরপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় ১০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। গৌরনদী উপজেলায় প্রতিপক্ষের হামলায় আওয়ামী লীগের ২ জন কর্মী আহত হয়েছেন; (ডেইলি স্টার ও বাংলাদেশ প্রতিদিন)। মৌলভীবাজারের কাগাবুলা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের ২টি প্রচারণা গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে; সমকাল (সপ্তদশ পৃষ্ঠা)। চাপাইনবাবগঞ্জেরর ভোলাহাটে ১ ছাত্রলীগ কর্মীকে ছুরিকাঘাতে আহত করা হয়েছে (বাংলাদেশ প্রতিদিন, সমকাল (সপ্তদশ পৃষ্ঠা)।

২২ ডিসেম্বর: সিলেটের শাহপরান উপজেলা, রংপুরের পীরগাছা উপজেলা, লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলা, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা ও হালুয়াঘাট উপজেলায় দুষ্কৃতিকারীরা আওয়ামী লীগের ৫টি নির্বাচনি ক্যাম্পে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে (প্রতিদিন২৪.কম)। পাবনার ভাঙ্গুরা উপজেলার আওয়ামী লীগের অফিসে বিএনপির নেতা-কর্মীদের হামলায় আওয়ামী লীগের ৩ জন আহত হয়েছে (পরিবর্তন.কম)।

২২ ডিসেম্বর পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণা মিছিলে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্ট ক্যাডাররা বোমার বিস্ফোরণ ঘটালে তোফাজ্জল হোসেন ম-ল নামের একজন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

বগুড়ার সোনাতলায় বিএনপির নেতাকর্মীদের হামলায় ৫০ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এছাড়া আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে ভাঙচুর চালানো হয়েছে (দৈনিক যায়যায়দিন)। ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় আওয়ামী লীগের মিছিলে পেট্রল বোমা হামলায় ১ জন আওয়ামী লীগ কর্মী আহত হয়েছেন (প্রথম আলো)। কক্সবাজার-২ আসনে আওয়ামী লীগের অফিসে হামলা হয়েছে। পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে বিএনপি-জামায়াত কর্মীরা হত্যার চেষ্টা করে। পটুয়াখালীতে আ.লীগ অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে এবং ১০ জন আহত হয়েছেন। খাগড়াছড়ির পানছড়িতে আ.লীগ অফিসে হামলা হয়েছে এবং কুমিল্লার দাউদকান্দিতে আ.লীগের অফিসে আগুন দেওয়া হয়েছে। মহাজোটের প্রার্থী ইয়াহিয়া চৌধুরীর প্রচারণায় হামলা হয়েছে এবং কুমিল্লা-২ আসনে আওয়ামী লীগের সেলিমা আহমেদ মেরীর মোটর শোভাযাত্রায় ককটেল হামলা করা হয়েছে (কালের কণ্ঠ)। বিএনপি ক্যাডাররা হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের অফিসে হামলা ও ভাঙচুর করেছে। এতে আওয়ামী লীগের ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। বিএনপির নেতাকর্মীরা শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় পুলিশের উপর হামলা করেছে এবং তাদের একটি ক্যামেরা ছিনতাই করে নিয়ে গেছে (বাংলাদেশ প্রতিদিন)। বগুড়ার নন্দীগ্রামে আ.লীগ প্রার্থীর মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় বিএনপি ক্যাডারদের বোমা হামলায় ১০ জন আ.লীগ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন (প্রতিদিনের সংবাদ)। চাঁপাইনবাবগঞ্জে একটি আ.লীগ অফিসে ও একজন প্রার্থীর মোটর শোভাযাত্রায় বোমা হামলা চালানো হয়েছে। পঞ্চগড়ে বিএনপি কর্মীরা একটি আ.লীগ অফিসে অগ্নিসংযোগ করেছে (দৈনিক করতোয়া)। কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায় আওয়ামী লীগের নির্বাচনি সমাবেশে ভয়াবহ বোমা হামলায় ৫ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন (দি ডেইলি স্টার অনলাইন)।

২১ ডিসেম্বর: দেশব্যাপী ২৪ জন আ.লীগ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। সিরাজগঞ্জে ১৮, পটুয়াখালীতে ৩ জন, চুয়াডাঙ্গায় ০১ এবং চট্টগ্রামে ২ জন আহত হন। টাঙ্গাইল, বাগেরহাট, পটুয়াখালী এবং চট্টগ্রামে আ.লীগের নির্বাচনী মিছিলে হামলা করা হয়েছে (দৈনিক জনকণ্ঠ)। পঞ্চগড়ের আটোয়ারি উপজেলা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের ২টি নির্বাচনী ক্যাম্পে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জে আ.লীগের নির্বাচনী ক্যাম্পের সামনে ৪টি বোমা বিস্ফোরণে ০১ শিশুসহ ২ জন আহত হয়েছেন (বাংলাদেশ প্রতিদিন)। নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার ভুঁইয়ার হাট ও কাঞ্চন বাজার এলাকায় বিএনপি নেতাকর্র্মীদের হামলায় আ.লীগের ১০ কর্মী আহত হয়েছেন। এসময় আ.লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করা হয় (ঢাকা ট্রিবিউন)।

২০ ডিসেম্বর: চট্টগ্রামে আ.লীগের প্রার্থী আফসারুল আমীনের মোটর শোভাযাত্রায়ায় বিএনপি কর্মীরা হামলা করেছে। মৌলভীবাজারে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের প্রার্থী এম এম শাহীনের নির্বাচনি প্রচারণার যানবাহন ভাঙচুর এবং নিবাচনি কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করেছে বিএনপির কর্মীরা (দৈনিক সমকাল)।

১৯ ডিসেম্বর: চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, পাবনা, মাগুরা, শেরপুর, মাদারীপুর এবং রাজধানীর মিরপুরে আওয়ামী লীগের ৯টি কার্যালয় ভাংচুর করা হয়েছে (ইত্তেফাক, মানবজমিন, জনকন্ঠ)। রাজধানীর কাফরুলে আ.লীগ অফিসে বিএনপি কর্মীদের বোমা হামলায় ১ জন আ.লীগ কর্মী আহত হয়েছেন (কালের কণ্ঠ)।

১৮ ডিসেম্বর: টাঙ্গাইলের ভুয়াপুর এবং খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় আ.লীগের অফিসে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে। এতে আ.লীগের ৪ নেতা-কর্মী আহত হন। নীলফামারীর জলঢাকা, পাবনার বেড়া এবং ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় আ.লীগের নির্বাচনী অফিসে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে এবং পটুয়াখালীতে আ.লীগ নেতার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। টাঙ্গাইলের শফিপুরে বিএনপি-জামায়াত কর্মীরা একটি পুলিশ ভ্যানে হামলা চালায় (কালের কণ্ঠ)।

১৭ ডিসেম্বর: মাগুরার শালিখা উপজেলায় আ.লীগের অফিসে বিএনপির নেতাকর্মীরা হামলায় ৩ জন আ.লীগ কর্মী আহত হয়েছেন। বিএনপি কর্মীরা ৪টি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় (দৈনিক সমকাল)।

১৬ ডিসেম্বর: সারাদেশে বিএনপি কর্মীদের হামলায় আওয়ামীলীগের ১০জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এরমধ্যে ফরিদপুর, সিলেট এবং ভোলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বড় ধরণের আক্রমণের শিকার হন এবং ২টি নির্বাচন কার্যালয়ে ভাঙচুর করা হয় (সমকাল)। ভোলার উদয়পুরে আ.লীগের ৬টি নির্বাচনি ক্যাম্পে হামলা এবং ৫টি মাইক্রোবাস ভাঙচুর ও ২০টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে (আরটিভি)।বিএনপির নেতা-কর্মীদের হামলায় রাঙ্গামাটিতে ৪ জন এবং ফরিদপুরে ২০ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন (দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট)। নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা (আরটিভি)। মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় আ.লীগের নির্বাচনি ক্যাম্পে ভাঙচুর ও হামলায় আ.লীগের ১০ জন কর্মী আহত হয়েছেন (দি ডেইলি স্টার)।

১৫ ডিসেম্বর: দিনাজপুরে বিএনপির নেতা-কর্মীদের হামলায় ৪ জন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। শেরপুরে যুবলীগের অফিস এবং ৫টি নির্বাচনি কার্যালয় ভাংচুর করা হয় (কালের কণ্ঠ)। খুলনায় বিএনপি কর্মীরা আ.লীগের অফিসে অগ্নিসংযোগ এবং বোমা হামলা চালিয়েছে (বাংলাদেশ প্রতিদিন)।কক্সবাজারের চকোরিয়া উপজেলায় বিএনপি-জামায়াত ক্যাডারদের হামলায় আ.লীগের ১০ জন কর্মী আহত হয়েছে (আমাদের সময়)।

১২ ডিসেম্বর: শরীয়তপুর জেলায় ককটেল বিস্ফোরণে ৫জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী আহত (বাংলার মুখ)।

১১ ডিসেম্বর: ফরিদপুরের সদর উপজেলার গোয়ালডাঙ্গিতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের হামলায় নর্থ চ্যানেল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ইউসুফ আল মামুন (৪০) নিহত হন (দি ডেইলি স্টার)।কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগের ৫ জন নেতা-কর্মী গুরুতর আহত হয়েছে (খোলাকাগজবিডি.কম)।

১০ ডিসেম্বর: বিএনপির নেতাকর্মীদের হামলা ও গুলিতে নোয়াখালীর সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ নিহত হন এবং আ.লীগের আরও ১০ জন নেতাকর্মী আহত হন (প্রথম আলো)।নেত্রকোণায় আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। সিরাজগঞ্জে আওয়ামী লীগের ৫ জন কর্মীকে মারধর করেছে বিএনপি ক্যাডাররা। জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের হামলায় একজন ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৬ জন আহত হয়েছে (আমাদের সময়)।

৪ ডিসেম্বর: চট্টগ্রাম ও নওগাঁতে ২ জন আ.লীগ নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। তারা হচ্ছেন নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইশহাক হোসেন, চট্টগ্রামের কলাগাঁও ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জামাল উদ্দিন।

সারাবাংলা/এমআই

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর