।। হাসান আজাদ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: দু’দিন বাদেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলো জাতীয় অগ্রগতির জন্য নিজ নিজ দলের পক্ষে ইশতেহার প্রকাশ করেছে। এর বাইরে প্রতিটি নির্বাচনি এলাকার প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকার উন্নয়নে বিভিন্ন ঘোষণা ও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, দিচ্ছেন, দিয়ে চলেছেন। কী আছে এসব প্রতিশ্রুতিতে?
এবারের নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগের ইশতেহারের গুরুত্ব পেয়েছে গ্রামের উন্নয়ন। ইশতেহারে বলা হয়েছে, গ্রাম হবে শহর। অর্থাৎ, গ্রামীণ এলাকাগুলোতেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে শহরের সুবিধা, সেবা। দলীয় ইশতেহারের মতো আওয়ামী লীগের প্রার্থীরাও স্থানীয় পর্যায়ে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতিই দিয়েছেন, দিচ্ছেন। আর এসব প্রতিশ্রুতিতে এবার সবচেয়ে বেশি জায়গা করে নিয়েছে ‘সিঙ্গাপুর’। দেশের বেশ কয়েকটি আসনের প্রার্থীরা এরই মধ্যে নিজের এলাকাকে ‘সিঙ্গাপুরে’র মতো উন্নত করে দেওয়ার নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। হেভিওয়েট প্রার্থীর পাশাপাশি অপেক্ষাকৃত নবীনরাও রয়েছেন এলাকাকে সিঙ্গাপুরে রূপান্তরিত করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া প্রার্থীদের তালিকায়।
গত ১৩ ডিসেম্বর বিকেলে ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে এক পথসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি পথসভায় বলেন, ভোলায় প্রচুর গ্যাস রয়েছে। সে গ্যাস দিয়ে অনেক শিল্প কারখানা হবে। ভোলা হবে দেশের শ্রেষ্ঠ জেলা। ভোলা হবে বাংলাদেশের সিঙ্গাপুর।
গত ২২ ডিসেম্বর বরিশাল-৫ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম নগরের সিটি হকার্স মার্কেট এলাকায় গণসংযোগ করেন। এসময় তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আবার সরকার গঠন করলে জানুয়ারির পর থেকেই দক্ষিণাঞ্চলে উন্নয়নের মহাযজ্ঞ শুরু হবে। এখানে গ্যাস আসবে, শিল্পকারখানা হবে, কর্মসংস্থান হবে। মানুষের জীবনমান উন্নয়ন হবে। তিনি বলেন, আমাকে একবার সুযোগ দিলে সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে বরিশালকে ‘মিনি সিঙ্গাপুরে’ পরিণত করব।
এদিকে, গত ২১ ডিসেম্বর কক্সবাজার-২ (মহেশখালী ও কুতুবদিয়া) আসনে নির্বাচনি গণসংযোগ ও পথসভায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, বর্তমান সরকার গত ১০ বছরে সারাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ভাগ্য বদলেছে মহেশখালী ও কুতুবদিয়া জনপদের মানুষের। আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় এলে এসব এলাকা হবে দ্বিতীয় সিঙ্গাপুর।
এর আগে, নির্বাচনের ডামাঢোল শুরুর প্রাক্কালে গত ২৩ অক্টোবর কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান বলেছেন, কক্সবাজার হবে আগামী দিনের সিঙ্গাপুর। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা কক্সবাজারকে সেভাবেই সাজাচ্ছেন।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে নিজ জেলাকে সিঙ্গাপুর বানানোর সর্বশেষ ঘোষণা দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও চলনবিল অধ্যুষিত নাটোর-৩ (সিংড়া) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জুনাইদ আহমেদ পলক। ২৬ ডিসেম্বর তিনি তার নির্বাচনি এলাকার পমগ্রাম, কুশাবাড়ি, নীলচড়া, বুদার বাজার, শালিখা, রানীনগর, চকপুর জোড়মল্লিকা, ভাগনাগরকান্দি গ্রাম ও হাটবাজারে পথসভা ও উঠান বৈঠক করেন। নির্বাচনি এসব পথসভা ও উঠোন বৈঠকে পলক বলেন, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে চলনবিল মিনি সিঙ্গাপুরে রূপান্তরিত হবে।
সারাবাংলা/এইচএ/টিআর