।।ওমর ফারুক হিরু, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট।।
কক্সবাজারঃ পর্যটন নগরী কক্সবাজার শহরে নির্বাচনকে ঘিরে নাশকতা ঠেকাতে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। র্যাবের তৎপরতায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকায় জনগণের মাঝে স্বস্তি বিরাজ করছে।
র্যাব মহাপরিচালক বেনজির আহমদের নির্দেশে র্যাব-৭ এর তত্ত্বাবধানে ২০ জন কর্মকর্তার নেতৃত্বে মোতায়েনকৃত ৬৯টি টহলের মধ্যে ১২টি টহল কক্সবাজারের চারটি আসনে মোতায়েন করা হয়েছে। এরমধ্যে কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনে মোতায়েন করা হয়েছে ৩টি টহল। এই তিনটি টহলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন র্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্পের স্কোয়াড কমান্ডার এএসপি মো. শাহ আলম। গত ২৬ ডিসেম্বর রাত থেকে কাজ শুরু করেছে টহল টিমগুলো।
২৬ ডিসেম্বর রাত থেকে কক্সবাজার শহর এলাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তাসহ, নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা রুখতে র্যাবের এই বিশেষ টহল জোরদার রয়েছে। একই সঙ্গে সাদা পোশাকে স্পর্শকাতর স্থানগুলোতে ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারি চলছে।
নির্বাচনকে ঘিরে সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে পর্যটন নগরীর হোটেল মোটেল। নাশকতা সৃষ্টির জন্য কক্সবাজার শহরের আবাসিক হোটেলগুলোতে বহিরাগত দুষ্কৃতিকারীদের অবস্থান করার আশঙ্কা রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে চরম উদ্বেগ বিরাজ করছে। কিন্তু বসে নেই র্যাব। হোটেল মোটেল জোনের নিরাপত্তায় ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে তারা। এরফলে পর্যটন ব্যবসায়ীদের মধ্যেও স্বস্তি বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে র্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্পের স্কোয়াড কমান্ডার এএসপি শাহ আলম সারাবাংলাকে বলেন, ‘বহিরাগত কোন লোকজন আবাসিক হোটেলগুলোতে অবস্থান করে নাশতকা সৃষ্টির পরিকল্পনা করছে কিনা তা খতিয়ে হোটেল মোটেল জোনে অভিযান চলছে। কোন অবস্থাতে দুষ্কৃতিকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না।’
এএসপি শাহ আলম আরও জানান, ‘সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে র্যাব বদ্ধ পরিকর। এ লক্ষ্যে সদর-রামু আসনে শুরু হওয়া বিশেষ টহল তথা অভিযান নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। সেই সঙ্গে সাদা পোশাকে স্পর্শকাতর স্থানগুলো গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
সারাবাংলা/ওএফএইচ/জেএইচ