Wednesday 14 May 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ভোটের ছুটি : কমলাপুরে বাড়ি ফেরা মানুষের ভিড়


২৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ১১:১৬

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: বরাবরই জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশের মানুষের কাছে উৎসবের মর্যাদা যায়। এই নির্বাচনে প্রার্থীদের গণসংযোগ থেকে শুরু করে ভোট দেওয়া পর্যন্ত একটি উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

আর মাত্র একদিন পরেই দেশজুড়ে শুরু হবে সেই ভোট উৎসব। আর এই উৎসবকে সামনে রেখে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে সাধারণ মানুষ ছুটছেন নিজ নিজ এলাকায়। গত ২৫ ডিসেম্বর বড়দিনের ছুটিকে সামনে রেখেই শুরু হয়েছিল ভোট দিতে বাড়ি যাওয়ার হিড়িক। তার ধারাবাহিকতায় শুক্রবারও (২৮ ডিসেম্বর) গন্তব্যের দিকে ছুটছেন মানুষ। তাই সকাল থেকেই রাজধানীর কমালপুর রেল স্টেশন ছিল লোকে লোকারণ্য।

ভোট উপলক্ষে সারাদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তাই দুইদিন সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে মিলেছে আরেকদিনের বাড়তি ছুটি। এই ছুটির সঙ্গে আর দুই একদিন যোগ করে নিয়ে ছুটছেন ঢাকাবাসী। তাদের কাছে এই আনন্দ যেন ঈদের আনন্দের চেয়ে কম নয়।

কমলাপুর স্টেশনে কথা হয় শামিম উসমানের সঙ্গে। তিন দিনের ছুটিতে গ্রামের বাড়ি বগুড়া যেতে চান তিনি। টিকেটের আশায় তাই সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। তবে স্ট্যান্ডিং টিকেট ছাড়া আর কিছু পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানালেন তিনি। তবে টিকেট পাওয়া গেলেই তিনি খুশি। বাড়ি যাওয়াটাই মূল কথা, হোক তা ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে।

ঢাকা থেকে জামালপুর যাবেন বলে বসে আছেন শরিফুল ইসলাম। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘কাউন্টারে টিকেট নেই, কিন্তু ব্ল্যাকারদের কাছে ঠিকই পাওয়া যাচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই এসব টিকেট ব্ল্যাকারদের হাতে চলে গেছে। ’ জামালপুরের ট্রেন সময়মতো স্টেশনে আসছে না বলেও অভিযোগ করলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

সরিষাবাড়ী যাওয়ার জন্য সকাল থেকে কমলাপুর রেলস্টেশনে বসে আছেণ নুরুল ইসলাম বাবু। তিনি সারাবাংলাকে জানান, ‘যেই ট্রেনটা ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা সকাল ৯ টায় কিন্তু এখন শুনছি ১০ টা বাজতে পারে।’

তবে ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় হয়নি বলে জানালেন, কমলাপুর রেলস্টেশনের মাস্টার মো. সাখাওয়াত হোসেন খান। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কোন ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় ঘটেনি। সাবাই শান্তিপূর্ণ ভাবে বাড়ীতে ফিরতে পারছেন।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যারা অভিযোগ করছেন যে টিকেট পাচ্ছেন না সেটা ভুল। অনেকেই আগে থেকে টিকিট কেটে রেখেছেন তাই তারা বসে যেতে পারছেন কিন্তু যারা দেরি করেছেন তাদের তো দাঁড়িয়েই যেতে হবে, এটাতে আমাদের কিছুই করার নেই। ট্রেনে যতটুকু সিট ক্যাপাসিটি থাকে ততটুকুই দেয়া সম্ভব।’

সারাবাংলা/এআই/এসএমএন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর