ছোট ভাই নাকি বড় ভাই, ধানের শীষের প্রার্থী কে?
২৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৩:৪৯
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।
চট্টগ্রাম ব্যুরো: নির্বাচনের দুইদিন আগে এসে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড আসনে ধানের শীষের প্রার্থী নিয়ে ধোঁয়াশার কথা উঠে এসেছে এক সংবাদ সম্মেলনে। ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে এতদিন যিনি প্রচারণা চালিয়ে আসছেন, সেই ইসহাক কাদের চৌধুরীর পরিবারের পক্ষ থেকে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ব্যালটে ইসহাক কাদের চৌধুরী নাকি তার ছোট ভাই আসলাম চৌধুরীর নাম থাকবে, সেটা তারা এখনও জানেন না।
শুক্রবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে হাজির থাকলেও সংবাদ সম্মেলনের আগমুহুর্তে চলে যান ইসহাক কাদের। পরে তার ছেলে মো.শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী তাদের পারিবারিক আয়কর আইনজীবী সোহরাব হোসেনকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন।
চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড ও মহানগরীর একাংশ) আসনে বিএনপি থেকে প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছিল দলটির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী ও তার বড় ভাই ইসহাক কাদের চৌধুরীসহ ৪ জন। ঋণখেলাপী হওয়ায় আসলামের মনোনয়ন পত্র বাছাইয়ে বাদ পড়ে। এরপর ইসহাক কাদের চৌধুরীকে চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করে বিএনপি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, কারাবন্দি আসলাম চৌধুরীর পক্ষে হাইকোর্টে রিট করা হলে গত ১৩ ডিসেম্বর আদালত প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করে প্রতীক বরাদ্দের নির্দেশ দেন। এরপর নির্বাচন কমিশন আপিল বিভাগে আপিল দায়ের করে। গত ১৮ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ নির্বাচন কমিশনের আবেদন খারিজ করে হাইকোর্টের নির্দেশনা বহাল রাখে।
এরপরও ব্যালট পেপারে আসলাম চৌধুরীর নাম আসবে কি-না সেটা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘আসলাম চৌধুরীর প্রার্থীতা বৈধ হওয়ার পর নির্বাচন কমিশনে আমার আব্বার (ইসহাক কাদের) প্রার্থীতা বাতিলের আবেদন করেছি। রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গেও দেখা করেছি। তিনি আসলাম চৌধুরীর প্রার্থীতা বহাল আছে বলে আমাদের মৌখিকভাবে জানালেও কোনো কাগজপত্র দেননি। ঢাকায় নির্বাচন কমিশনে খবর নিয়ে জেনেছি, ব্যালট পেপারে আসলাম চৌধুরীর নাম আছে। তবে আমরা সন্দিহান আদৌ আছে কি-না। প্রার্থী যে-ই হোক, আমরা ধানের শীষের পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ৩০ ডিসেম্বর ভোট। আজ ২৮ ডিসেম্বর। মাত্র দুইদিন সময় আছে। অথচ এখনও আমরা জানি না, আমাদের প্রার্থী কে ? এভাবে কি নির্বাচন হয় ?’
সংবাদ সম্মেলনে শাহরিয়ার হোসেন চট্টগ্রাম-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দিদারুল আলমের বিরুদ্ধেও ঋণখেলাপের অভিযোগ করেছেন।
আসলাম চৌধুরী ২০১৬ সালের ১৫ মে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে গ্রেফতারের পর থেকে কারাগারে আছেন। ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্টের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ‘বাংলাদেশের সরকার উৎখাত ষড়যন্ত্র করার’ অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
সারাবাংলা/আরডি/জেএএম