‘সাংবাদিকদেরও সীমারেখা রয়েছে’
২৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৪:১৫
।।সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেছেন, প্রত্যেক কর্মক্ষেত্রেই সীমারেখা আছে। সাংবাদিকদেরও নিশ্চয়ই সীমারেখা রয়েছে। সীমারেখা অতিক্রম করলেই সংকট তৈরি হয়। এ বিষয়টি সবার মাথায় রাখতে হবে।
শুক্রবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় ডিআরইউ আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, নবাবগঞ্জে সাংবাদিকদের ওপর হামলা খুবই ন্যক্কারজনক ঘটনা। পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। অবিলম্ব তাদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। সেই সাথে এও বলতে চাই, আগামী ৩০ ডিসেম্বর ও তার পরবর্তী সময়ে দায়িত্ব পালনের সময় পেশাদার সাংবাদিকদের ওপর যাতে কোনো প্রকার খড়্গ নেমে না আসে প্রশাসনকে সে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দায়িত্ব পালনের সময় কোনো পেশাদার সাংবাদিক আক্রান্ত হলে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নকে অবহিত করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) সভাপতি আবুল খায়ের বলেন, দেশ স্বাধীনের পর এ পর্যন্ত বিভিন্ন হামলায় ২২০০ সাংবাদিক আহত হয়েছে। প্রায় ৫০ জনের মতো সাংবাদিক নিহত হয়েছে। কারো বিচার হয়নি। বিচার না হওয়াতেই সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালাতে যে কেউ দ্বিধা-বোধ করেন না। বিচার করতে হবে। আমরা সরকারকে সহযোগিতা করতেই সাংবাদিকতা করি। কিন্তু সরকারের কেউ কেউ হয়তো অতি উৎসাহিত হয়ে খারাপ কিছু ঘটানোর চেষ্টা করছে। তারই একটা উদাহরণ নবাবগঞ্জে সাংবাদিকদের ওপর হামলা।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) কাদের গণি চৌধুরী বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এখন পর্যন্ত ২৫ জন সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। একটি ঘটনারও ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যায়নি পুলিশকে। আমাদেরকে নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন করতে হবে। আমরা কোনো সরকারের প্রতিপক্ষ নই। আমরা স্বাধীনভাবে শুধু আমাদের কাজটুকু করতে চাই।
মানববন্ধনে সাংবাদিক নেতা রুহুল আমীন গাজী বলেন, আগুন নিয়ে কেউ খেলবেন না। সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতনের খেলা বন্ধ করুন। কোনো সাংবাদিকের গায়ে যাতে আর হাত না পড়ে।
ডিআরইউয়ের সাধারণ সম্পাদক কবির আহমেদ খানের সঞ্চালনায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ইলিয়াস হোসেন বলেন, আমরা দলবাজি করতে আসিনি। আমরা পেশাদারিত্ব বজায় রেখে শুধু আমাদের কাজটুকু করতে চাই। সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলতে চাই। ডিআরইউ এখনো একতাবদ্ধ আছে। তাই সবাই মিলে সকল সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় আমরা প্রতিবাদ জানাতে চাই। একই সাথে হামলাকারীদের অবিলম্বে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনারও দাবি জানাচ্ছি।
মানববন্ধনে বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা, টেলিভিশন ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন।
সারাবাংলা/ইউজে/এনএইচ