খাগড়াছড়িতে ১৮৭ কেন্দ্রের মধ্যে ১৬৪টিই ঝুঁকিপূর্ণ
২৯ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৫:০৪
।। ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট ।।
খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়িতে ১৮৭ ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ১৬৪টি কেন্দ্রকেই ঝুঁকিপূর্ণ বা পুলিশের ভাষায় অধিক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্ণিত করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য বাড়তি ব্যবস্থা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এই জেলায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৬টি নতুন ভোট কেন্দ্রসহ মোট ভোট কেন্দ্র ১৮৭। সর্বমোট ভোট কক্ষের সংখ্যা ৮২৯টি। নারী ভোটার ২ লাখ ১৫ হাজার ৩০৭ এবং পুরুষ ভোটার ২ লাখ ২৬ হাজার ৫৩৬ জনসহ মোট ভোটার ৪ লাখ ৪১ হাজার ৮৪৩ জন।
১৮৭টি কেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য এক হাজার ১১৭ জন পুলিশ সদস্য, ২ হাজার ২৪৬ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য, ৫৭৫ জন্য বিজিবি সদস্য মোতায়েন থাকবে। এছাড়া ১২টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, দুইটি স্ট্যান্ডবাই স্ট্রাইকিং ফোর্স, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে তিনটি ভ্রাম্যমান আদালত, দুইটি মোবাইল টিম সার্বক্ষনিক নিরাপত্তার দায়িত্বে মোতায়েন থাকবে।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, আওয়ামী লীগ সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। কিন্তু শোনা যাচ্ছে প্রত্যন্ত এলাকায় ইউপিডিএফ সমর্থিত প্রার্থীর সমর্থক ও বিএনপির প্রার্থীর সমর্থকেরা ভোট কেন্দ্র দখল করতে পারে। এই বিষয়ে নজর রাখার জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানান।
বিএনপির প্রার্থী শহীদুল ইসলাম ভুইয়া ও ইউপিডিএফ সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী নতুন কুমার চাকমাও একই অভিযোগ আনেন আওয়ামী লীগ প্রার্ীর বিরুদ্ধে। তারা দুজনেই অভিযোগ করে বলেন, ৮২৯ টি ভোটকক্ষে তারা তাদের এজেন্ট পর্যন্ত দিতে পারছেন না। যেসব এজেন্টের তালিকা ইতিমধ্যে তারা জমা দিয়েছেন তাদেরকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। মামলা না থাকলেও আটক করা হচ্ছে, ভোটারেরা ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হয়েছে। তারা উভয়েই সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানান।
অন্যদিকে, জাতীয় পার্টির (এরশাদ) প্রার্থী সোলায়মান আলম শেঠ এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থী আবদুল জব্বার গাজী সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আশংকা প্রকাশ করলেও কোনো দলের নেতা কর্মীদের বিরূদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করেননি।
সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে রিটানিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, প্রার্থীরা একে অপরের বিরূদ্ধে অভিযোগ করছেন এটা সত্য। তবে সুষ্ঠু, সুন্দর ও গণতান্ত্রিক নির্বাচন অনুষ্ঠানে বদ্ধপরিকর নির্বাচন কমিশন। কেউ আইন ভঙ্গ করার চেষ্টা করলে কমিশন কাউকে ছাড় দেবে না। আইনানুগ ব্যবস্থার পাশাপাশি কঠোরভাবে পদক্ষেপ নিয়ে বেআইনি কার্যক্রম বন্ধ করা হবে।
এই বিষয়ে পুলিশ সুপার মো. আহমার উজ্জামান বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মোতাবেক কাজ করছে নিরাপত্তা বাহিনীর সকল সদস্য। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সকলকে সহযোগিতা করতে অনুরোধ করেন তিনি।
সারাবাংলা/এসএমএন