শেরপুরে ভোট উৎসবের অপেক্ষায় ১ লাখ ২৯ হাজার তরুণ ভোটার
২৯ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৪:৫৪
।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
শেরপুর: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেরপুরের ৩টি আসনে এবার ভোট উৎসবের জন্য অধির আগ্রহে অপেক্ষায় রয়েছেন প্রায় ১ লাখ ২৯ হাজার তরুণ ভোটার। ৩০ ডিসেম্বর বুধবার তারা নিজ নিজ এলাকায় ভোট উৎসবে শামিল হয়ে পছন্দের প্রার্থীকে প্রথমবারের মতো ভোট দেবেন।
জেলা নির্বাচন অফিসের তথ্যমতে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেরপুরের মোট ভোটার সংখ্যা ১০ লাখ ৩৬ হাজার ৫৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ লাখ ১২ হাজার ২৪৩ জন এবং নারী ভোটার ৫ লাখ ২৩ হাজার ৮১৩ জন। শেরপুরে মোট ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৩৯৯টি।
জেলার ৩টি সংসদীয় আসনের মধ্যে শেরপুর-১ (সদর) আসনে ১টি পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৬১ হাজার ৩৭৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ৭৯ হাজার ৫৫২ জন ও নারী ভোটার ১ লক্ষ ৮১ হাজার ৮২৬ জন।
শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনে ২টি পৌরসভা ও ২১টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৪৯ হাজার ১৫৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭১ হাজার ৯১২ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৭৭ হাজার ২৪৬ জন।
এ ছাড়া শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনে ১টি পৌরসভা ও ১৭টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ২৫ হাজার ৫২০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬০ হাজার ৭৭৯ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৬৪ হাজার ৭৪১ জন।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৯ লাখ ৭ হাজার ২৬৩ জন। সে হিসেবে এবার ভোটার বেড়ে নতুন ভোটার হয়েছেন ১ লাখ ২৮ হাজার ৭৯৩ জন। আর এ সংখ্যার প্রায় পুরো অংশই তরুণ ভোটার।
এদিকে ওই নতুন ও তরুণ ভোটারদের মাঝে ভোট উৎসব নিয়ে যেমন কাজ করছে আগ্রহ, ঠিক তেমনি তাদেরকেই ভাগ্য নির্ধারণের হাতিয়ার হিসেবে ভাবছেন ভোটের লড়াইয়ে থাকা প্রার্থীসহ অনেকেই।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ১৮ থেকে ২৮ বছর বয়সী এসব ভোটারের বেশির ভাগই প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজেদের সমর্থন জানানোর সুযোগ পেতে যাচ্ছেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নয়নের কারণে এই তরুণ প্রজন্ম অবাধ তথ্য প্রবাহের মধ্যে বেড়ে উঠেছেন। তাদের মাঝে কাজ করে দেশপ্রেম। তারা অন্ধভাবে ভোটের দিকে না ঝুঁকে রাজনীতির নানা ভাঙা-গড়ার লাভ-ক্ষতির বিষয়টিও তারা পর্যবেক্ষণে রাখছেন। তাই তরুণ ভোটাররাই জেলার ৩টি আসনের এমপি প্রার্থী নির্বাচিত করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় নিয়ামক হয়ে উঠতে পারেন।
উন্নয়ন কর্মী সোলায়মান আহমেদের মতে, ‘নতুন ভোটারদের যে সংখ্যার কথা বলা হচ্ছে, এতেই বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয় যে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এই লক্ষাধিক ভোটার এ নির্বাচনে জয়-পরাজয় নির্ধারণে প্রধান ভূমিকা রাখবে। এরা অন্ধভাবে ভোট দেবে না। রাজনীতির ভাঙাগড়াও এরা পর্যবেক্ষণে রাখছে।’
তবে সচেতন মহলের ধারণা, এবারের নির্বাচনে সব মিলিয়ে উন্নয়ন-উৎকর্ষ তথা ডিজিটাল অগ্রযাত্রার এ সময়ে তরুণ ও নবীন ভোটারদের বৃহৎ অংশই স্বাধীনতার পক্ষ শক্তিকে রায় দিতে পারে।
সারাবাংলা/এমআই