Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

গত দশ বছরের ইতিহাস আতঙ্ক, ভয়, সহিংসতা, রক্তপাতের: রিজভী


২৯ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৫:৪৭

। স্পেশাল করেসপেন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: বর্তমান সরকারের দশ বছরের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘গত দশ বছরের ইতিহাস লিপিবদ্ধ করলে দেখা যাবে শুধু আতঙ্ক, ভয়, উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা, সহিংসতা, রক্তপাত আর বিরোধীদল দমনের দশক। গণতন্ত্রের অস্থিমজ্জাকে নিংড়িয়ে গোরস্থানে পাঠানের দশক।’

ভোটের আগের দিন শনিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যলয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ‘আগামীকালের নির্বাচন নিয়ে শাসকগোষ্ঠী নানা কায়দা-কানুন ও পরিকল্পনা করছে। তারা ময়ূরের সিংহাসন থেকে ছিটকে পড়ার ভয়ে এই কয়েকদিন রক্তাক্ত হামলায় দেশকে আতঙ্কের জনপদে পরিণত করেছে। বিএনপির মিছিল ও নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুরসহ সহিংস আক্রমণে তাদের রক্ত ঝরাচ্ছে। ধানের শীষের প্রার্থীদের শারীরিক আক্রমণসহ হাজার হাজার নেতাকর্মীকে রক্তাক্ত করা হয়েছে।’

ভোগের আগের রাতে নৌকা মার্কায় সিল মারার পরিকল্পনাসহ নানামূখী নীলনকশা বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘গতকাল থেকে নির্বাচনি প্রচারণা বন্ধ থাকলেও আওয়ামী ক্যাডাররা বিভিন্ন নির্বাচনি আসনে মোটরসাইকেল মহড়া দিচ্ছে। চলছে বিরামহীন পুলিশী হয়রানি, মামলা দায়ের ও গ্রেফতার।’

প্রতিশ্রুতির বরখেলাপ করে আওয়ামী লীগ জবরদস্তিমূলকভাবে ক্ষমতা দখল করে আছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, ‘এজন্য তাদের সামনের বাধাগুলো সরিয়ে দিতে দ্বিধা করেনি। প্রথমে তারা সবচেয়ে বড় বাধা মনে করেছে খালেদা জিয়াকে। তাকে অন্যায়ভাবে বন্দি করা হয়েছে। নির্দোষ বেগম জিয়াকে কারান্তরীণ করা ছিল একতরফা নির্বাচনের পূর্বাভাস।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, “নির্বাচনের মাঠে খালেদা জিয়াকে মোকাবিলা করার সাহস না পেয়ে তাকে বন্দি করা হয়েছে। বন্দি করার পর তিনি জনগণের কাছে ‘গণতন্ত্রের মা’ হিসেবে সমাদৃত হচ্ছেন। আর এতেই সরকার আরও হিংস্র হয়ে উঠে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর চালাচ্ছে ভয়ংকর নিষ্ঠুরতা।’

রিজভীর অভিযোগ, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকেই বিএনপি’র বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, হামলা ও গ্রেফতারের হিড়িক পড়ে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে এর মাত্রা বৃদ্ধি করা হয়। তফসিল ঘোষণার পর মামলা-হামলা-গ্রেফতারের স্পিডলিমিট নাই। এই নির্বাচনের চূড়ান্তক্ষণে সারা বাংলাদেশের জনগণের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতাকে পরাধীনতার শৃঙ্খলে বন্দি করেছে অবৈধ শাসকগোষ্ঠী।

সংবাদ সম্মেলনে এসময় উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদসহ অন্যরা।

সারাবাংলা/এজেড/এমও

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর