।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
চট্টগ্রাম ব্যুরো: কেন্দ্রে কেন্দ্রে চলে গেছে ব্যালট পেপার, ব্যালট বাক্স, ইভিএমসহ ভোটগ্রহণ সরঞ্জাম। ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তারা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও অবস্থান নিয়েছেন কেন্দ্রে। ভোটের আগের রাতে যে কোন ধরনের নাশকতা-সহিংসতা, সংঘাত ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে আছে পুলিশ-র্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনী। তবে বন্দনগরী চট্টগ্রামে দৃশ্যত ভোটের পরিবেশ শান্ত আছে।
এই অবস্থায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের অপেক্ষায় আছে চট্টগ্রামের প্রশাসন। আর নিরবচ্ছিন্ন প্রচার-প্রচারণার পর শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটযুদ্ধের অপেক্ষায় চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের ১১৭ জন প্রার্থী।
রোববার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ হবে। ২০০৮ সালে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হয়েছিল দেশে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়নি। সহিংসতাপূর্ণ সেই নির্বাচনে ভোটের লড়াই উৎসবমুখর ছিল না। ১০ বছর পর আবারও একটি চরম প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ভোটের লড়াই পেতে যাচ্ছেন প্রার্থী ও ভোটারেরা।
চট্টগ্রামে মোট আসন ১৬টি। এর মধ্যে বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুল মান্নান মহানগর ও আশপাশের এলাকার ৬টি আসনে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করছেন। জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন বাকি ১০টি আসনের দায়িত্বে আছেন, যার সবগুলোই উপজেলায়।
রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। কেন্দ্রে ব্যালট পেপারও চলে গেছে। এখন কেবল ভোটের প্রতীক্ষা। সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ ভোট করার জন্য সবাই সচেষ্ট।’
চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে মোট ভোটার ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৪৬৫। এর মধ্যে পুরুষ ও মহিলা ভোটার যথাক্রমে ২৯ লাখ ১২ হাজার ৭৫ এবং ২৭ লাখ ২৫ হাজার ৩৯০।
এর আগে অনুষ্ঠিত ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ভোটার ছিল ৪৯ লাখ ২২ হাজার ৪৭৭। এবার বেড়েছে ৭ লাখ ১৪ হাজার ৯৮৮।
চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে এক হাজার ৮৯৯ টি কেন্দ্রের ১০ হাজার ৮৮৭টি কক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে এক হাজার ৩২টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় রেখেছে নির্বাচন কমিশন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সিএমপি কমিশনার মো.মাহাবুবর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, সব ভোটকেন্দ্রকেই আমরা সমান গুরুত্ব দিচ্ছি। তবে কিছু কিছু কেন্দ্র আছে যেখানে অতীতে সহিংসতা হয়েছে। সেগুলো আমাদের বাড়তি নজরদারিতে থাকবে।
চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা সারাবাংলাকে বলেন, ‘সীতাকুণ্ড, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, বাঁশখালী উপজেলায় নাশকতার অতীত রেকর্ড আছে। এবার যদি সেই ধরনের উল্টাপাল্টা কাজ কেউ করার চেষ্টা করে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন হবে।’
চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের মধ্যে শুধুমাত্র চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি-বাকলিয়া) আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোট হবে।
সারাবাংলা/আরডি/এমও