।। উজ্জল জিসান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: নৌ সংলগ্ন এলাকায় নৌ পুলিশ, নদী বেষ্টিত এলাকায় কোস্টগার্ড ও সমুদ্র উপকুলীয় এলাকায় নৌ বাহিনী, স্থল পথে র্যাব, পুলিশ, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও আনসার বাহিনী এবং পাহাড় বেষ্টিত দুর্গম গিরিপথ এলাকায় বিমান বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। এভাবেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে নিরাপত্ত বলয় তৈরি করা হয়েছে।
গত ১৮ ডিসেম্বর সারাদেশে ১০১৬ প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েনের মাধ্যমে শুরু হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা কার্যক্রম। ২৩ ডিসেম্বর রাত ১২ টা থেকে সারাদেশে ৫০ হাজার সেনাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়। পুলিশের প্রায় আড়াই লাখ, র্যাবের ১০ হাজার, নৌ পুলিশের দেড় হাজার ও আনসারদের লক্ষাধিক সদস্য নিয়ে নিরাপত্তা বলয় তৈরি হয়েছে।
শনিবার (২৯ ডিসেম্বর) সেনা সদস্যরা ভোট কেন্দ্রের আশেপাশেই থাকবেন তাই নির্ভয়ে ভোট দিতে কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য আহবান করেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ।
ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, পুলিশের সব ধরণের কার্যক্রম সম্পন্ন করে ভোটের ভালো পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। কোনো কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ নেই। এরপরেও পুলিশ যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকবে। সবাই উৎসবমূখর পরিবেশে ভোট দিতে আসবেন।
র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ মিরপুরে ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে শনিবার বিকেলে সাংবাদিকদের বলেন, ভোটগ্রহণের জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। আর কেউ যদি ভোট দিতে বাধা দেয় এবং কেউ নাশকতার চেষ্টা চালায় তবে রুখে দেবে র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, প্রায় ৬ লাখ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের সমন্বয়ে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোটের পরেও যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় কাজ করবেন তারা। কেউ ভোট বানচালের চেষ্টা করলেও প্রতিহত করবেন তারা।
শনিবার বিকেলের মধ্যে দেশের সকল ভোট কেন্দ্রে ব্যালট পোপারসহ নির্বাচনী সরঞ্জামাদি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
সবশেষ শনিবার বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা বলেন, ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দেবেন। নির্বাচনি কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করবেন। ফৌজদারি অপরাধ ছাড়া কাউকে গ্রেফতার না করতে পুলিশকে নির্দেশ দেন সিইসি।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৯ টি আসনে ১৯ টি রাজনৈতিক দলের হয়ে ৮ হাজার ৮৬১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।
সারাবাংলা/ইউজে/জেএএম