Tuesday 26 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ভোটকেন্দ্রে কী নেবেন, জাতীয় পরিচয়পত্র নাকি ভোটার তথ্যপত্র?


৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ ১১:১৪

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।  ভোট শুরুর পরই প্রথম যে বিড়ম্বনায় পরছেন ভোটাররা, তা হচ্ছে কোন পরিচয়পত্র নিয়ে ভোটার ভোট দিতে যাবেন? তারা কি সঙ্গে স্মার্ট কার্ড নিয়ে যাবেন? যারা স্মার্ট কার্ড পাননি, তারা কি জাতীয় পরিচয়পত্র বা ন্যাশনাল আইডি কার্ড নিয়ে যাবেন? নাকি প্রার্থীরা ভোটারদের জন্য ভোটার তথ্য সম্বলিত যে চিরকুট দিয়েছেন, সেটি নিয়ে যেতে হবে?

বিজ্ঞাপন

ঢাকা-৬ আসনের শেরেবাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয় কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং অফিসার মো. শহীদুর রহমান খান সারাবাংলাকে জানান, একজন ভোটার চার ভাবে তার পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেন— এক. তার স্মার্ট আইডি, দুই. যদি কেউ স্মার্ট আইডি না পেয়ে থাকেন তবে তার পুরানো ন্যাশনাল আইডি কার্ড, তিন. ভোটার নম্বর সম্বলিত কাগজ এবং চার. এর কোনোটিই যদি না থাকে, তবে আঙুলের ছাপ মিলিয়ে ভোট দিতে পারবেন একজন ভোটার।

আরও পড়ুন: শীত উপেক্ষা করে ভোর থেকে ভোটকেন্দ্রে চট্টগ্রামের মানুষ

তবে সরেজমিনে দেখা গেছে, পরিচয়পত্রের সমাধান এত সহজেই হচ্ছে না।  সকালে ঢাকা-৬ আসনের দুই কেন্দ্র দয়াগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শেরেবাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয় ঘুরে এই পরিচয়পত্রের বিড়ম্বনায় পড়তে দেখা যায় অনেককেই। শুরুতে যারা প্রার্থীদের পক্ষ থেকে পাওয়া ভোটার তথ্যের কাগজ পেয়েছেন, তারাই শুধু ভোট দিতে পেরেছেন। বাকিদের বের করে দেওয়া হয় কেন্দ্র থেকে।

বের হয়ে আসা ভোটাররা দাবি করেন, ন্যাশনাল আইডি কার্ড বা স্মার্ট আইডি দিয়ে ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে না তাদের। ঢাকা-৬ আসনের সব কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ চলছে। এই পদ্ধতিতে ভোট যত দ্রুত হওয়ার কথা, তত দ্রুত হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন এই আসনের লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির পক্ষে নির্বাচন করা মহাজোট প্রার্থী কাজী ফিরোজ রশীদ।

বিজ্ঞাপন

শেরেবাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয় কেন্দ্রে অনেক ভোটার পরিচয়পত্রের বিড়ম্বনায় পড়েন। কাজী ফিরোজ রশীদ সারাবাংলাকে বলেন, পরিচয়পত্র বিড়ম্বনায় প্রার্থীরা এক বুথ থেকে আরেক বুথে ঘুরছে, একজন থেকে আরেকজন কর্মকর্তার কাছে দৌড়াচ্ছেন। এতে সময় নষ্ট হচ্ছে। তিনি আশঙ্কা করেন, ভোটাররা এমন বিড়ম্বনার শিকার হলে বিশৃঙ্খলা হতে পারে।

আরও পড়ুন: শুরু হলো সব দলের অংশগ্রহণে একাদশ সংসদের ভোট

ভোটার নম্বর সম্বলিত কাগজ সাধারণত প্রার্থীরা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি সরবরাহ করেন। এই কাগজ অনেকেই পেয়েছেন, কেউ কেউ পাননি। দয়গঞ্জে ভোটাররা দাবি করেন, প্রার্থীদের পক্ষ থেকে কোনো কাগজ তাদের বাড়িতে দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করা কর্মীরা অভিযোগ করেন, অনেক ভোটারই তাদের হোল্ডিং (বাসার ঠিকানা) বদলেছেন, যার তথ্য হালনাগাদ করা হয়নি। ফলে তারা বাড়ি গিয়ে কাউকে পায়নি। অনেক কর্মীর অভিযোগ, বাড়িতে গিয়ে যাদের পাওয়া যায়নি তাদের কাগজ নিয়ে ফিরে আসতে হয়েছে।

প্রিজাইডিং অফিসার মো. শহীদুর রহমান খান বলেন, আমাদের বুথগুলো সাজানো হয়েছে ভোটার নম্বর অনুযায়ী। এক একটি বুথে শুধুমাত্র ওই বুথের ভোটারদের তথ্য আছে। ফলে সমস্যা হচ্ছে। তারপরও আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি ভোটারদের সহায়তা করতে।  আঙুলের ছাপ মেলানো নিয়ে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু আইডি মিলিয়ে সহকারী প্রিজাডিং অফিসাররা যদি নিশ্চিত হন যে তিনি এই এলাকার ভোটার, তবে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের অনুমতিক্রমে তাকে ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন: সুষ্ঠু ভোটগ্রহণে সারাদেশে নিরাপত্তা বলয়

এদিকে, নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ভোটাররা তাদের ভোটার নম্বর ঘরে বসেই যেকোনো মোবাইল থেকে ১০৫ নম্বরে মেসেজ পাঠিয়ে জানা যাবে। এক্ষেত্রে কারও যদি স্মার্ট কার্ড থাকে, তবে মেসেজ অপশনে PC <স্পেস> স্মার্টকার্ড নম্বর লিখে ১০৫ নাম্বারে পাঠালে ফিরতি মেসেজে ভোটার নম্বর ও কেন্দ্রের নম্বর পাওয়া যাবে। আর যদি স্মার্ট কার্ড না থাকে তবে PC <স্পেস> ন্যাশনাল আইডি কার্ড নম্বর (যাদের ন্যাশনাল আইডি নম্বরের শুরুতে জন্ম সাল নেই, তাদের জন্ম সাল উল্লেখ করতে হবে) লিখে ১০৫ নম্বরে পাঠাতে হবে।

সমস্যা এড়াতে, ভোটারদের নিজ নিজ ভোটার নম্বর জেনে যাওয়ার অনুরোধ করেছে নির্বাচন কমিশন।

সারাবাংলা/এমএ/টিআর

এনআইডি জাতীয় পরিচয়পত্র ভোটার তথ্য স্মার্ট কার্ড

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর