ইভিএম: ঢাকা-৬-এর ১২ কেন্দ্রে ভোট স্থগিতের দাবি ববি হাজ্জাজের
৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ ১১:৫৮
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে ‘অভিনব’ কায়দায় কেন্দ্র দখল করে ভোট কারচুপির অভিযোগ করেছেন ঢাকা-৬ আসনের গণঐক্যের ‘হারিকেন’ মার্কার প্রার্থী ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেকিট মুভমেন্টের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ।
রোববার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় তিনি নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের কাছে অভিযোগ নিয়ে আসেন। এ সময় ইসি সচিব তার সঙ্গে দেখা না করে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করতে বলেন।
পরে ববি হাজ্জাজ নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমি আমার নিজের এলাকার অনেক সেন্টারে ঢুকতে পারিনি। আমাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। নবাবপুর হাইস্কুল কেন্দ্রে আমি ঢুকতে পারিনি। সেখানে যখন বাধা দেওয়া হচ্ছিল, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাউকে পাইনি। প্রার্থী কেন্দ্রে ঢুকতে না পারেল ভোটার কিভাবে ঢুকে ভোট দেবেন?
তিনি বলেন, সকাল ১০টার মধ্যেই ১২টি কেন্দ্র থেকে আমাদের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রগুলো হলো— গেন্ডারিয়া হাইস্কুল, কবি নজরুল কলেজ, শের-ই-বাংলা হাই স্কুল, মনিজা রহমান বিদ্যালয়, সেন্ট জোসেফ স্কুল, সূত্রাপুর কমিউনিটি সেন্টার, কেএল জুবলি স্কুল, ফরাসঞ্জ কমিউনিটি সেন্টার, সিলভার ডেল স্কুল, ইস্ট বেঙ্গল স্কুল, ওয়ারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাঈদ খোকন কমিউনিটি সেন্টার। আমি এসব কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করার দাবি জানিয়েছি।
ববি হাজ্জাজ বলেন, ইভিএমের কেন্দ্রে ‘অভিনব’ কায়দায় কারচুপি করা হচ্ছে। আমরা তো আগে ভেবেছিলাম, মেশিন ম্যানিপুলেশন হবে। এখন তো ভোটকেন্দ্রই দখল হচ্ছে। দু’ভাবে ইভিএমের কেন্দ্রে ভোট কারচুপি করা হচ্ছে। প্রথমত বুথে গিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে লাঙ্গল মার্কার লোকেরা ভোটারকে বলছে, কোথায় ভোট দেবেন? আর এনআইডি কার্ড নিয়ে সেখান থেকেই বের করে দেওয়া হচ্ছে।
ববি হাজ্জাজ বলেন, প্রতিটি কেন্দ্রে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী দুইশ জনের মতো লোক বাইরে অবস্থান করছে। আর কেন্দ্রের ভেতরে ভোটকক্ষে ৪০-৫০ জন করে অবস্থান নিয়েছে। এসব অনিয়মের কারণে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ১২টি কেন্দ্র বের করে দেওয়া অভিযোগ করেছি। কিন্তু বন্ধ করা হয়নি। এদিকে, নির্বাচন কমিশনও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ইসি সচিব বলেছেন, রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দেওয়া অভিযোগ তারা পেয়ে যাবেন। এখন কী আর করব!
তিনি বলেন, এসব কেন্দ্রে মহাজোটের প্রার্থী জাতীয় পার্টির নেতা কাজী ফিরোজ রশিদের কর্মী সমর্থকরা নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে। তাদের হামলায় আমার চার জন পোলিং এজেন্ট গুরুতর আহত হয়েছেন। ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে একটি কেন্দ্রে এনডিএম প্রার্থীর এজেন্টকে কাজী ফিরোজ রশীদ নিজেই মেরে বের করে দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ইভিএমে ভোট দেওয়ার জন্য আঙুলের ছাপ ও এনআইডি নম্বর দিয়ে ব্যালট ওপেন করা যায়। তারপর বুথে গিয়ে ভোট দিতে হয়। কারও আঙুলের ছাপ না মিললে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ২৫ শতাংশ ব্যালট পেপার নিজে ওপেন করতে পারেন।
এবারই প্রথমবারের মতো দেশে সংসদ নির্বাচনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। ঢাকা-৬ ও ঢাকা-১৩, খুলনা-২, রংপুর-৩, সাতক্ষীরা-২ ও চট্টগ্রাম-৯ আসনের পুরোটাই ইভিএমে ভোটগ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন।
সারাবাংলা/জিএস/টিআর