বেশির ভাগ কেন্দ্রেই নেই ধানের শীষের এজেন্ট
৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৫:২০
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে ভোট গ্রহণের জন্য ঢাকা-৮ ও ৯ নির্বাচনি আসনের বেশিরভাগ কেন্দ্রেই ধানের শীষের এজেন্ট আসেননি।
রোববার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৮ টায় ভোটগ্রহণ শুরুর পর থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত এই দুই আসনে অন্তত ১৫ কেন্দ্র ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
ঢাকা-৮ ও ৯ নির্বাচনি আসনে বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোট দিতে আসেন সাধারণ ভোটার, প্রত্যক্ষদর্শী এবং ভোট কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনরত প্রিজাইডিং অফিস, সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার এবং পোলিং এজেন্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ধানের শীষের এজেন্ট শুরু থেকেই অনুপস্থিত। কেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট আসার পর বের করে দেওয়া হয়েছে অথবা কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি— এমন ঘটনা ঘটেনি।
শাহজাহানপুর মির্জা আব্বাস মহিলা কলেজে স্থাপিত ঢাকা- ৮ নির্বাচনি আসনের ৩৯ নম্বর কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়- ২০১ নম্বর কক্ষে ধানের শীষের এজেন্ট নূর এ জান্নাত রুমা এবং নৌকার এজেন্ট আমেনা বেগম, ২০২ নম্বর কক্ষে ধানের শীষের এজেন্ট নূর জাহান বেগম এবং নৌকার এজেন্ট সাহারা বেগম, ২০৩ নম্বর কক্ষে ধানের শীষের এজেন্ট মোমেনা আক্তার এবং নৌকার এজেন্ট শাকিলা খানম পাশাপাশি বসে দায়িত্ব পালন করছেন।
একই কেন্দ্রের ৩০১ নম্বর কক্ষে নৌকার এজেন্ট আইরিন পারভীন, ৩০২ নম্বের কক্ষে ধানের শীষের এজেন্ট মরিয়ম জান্নাত এবং নৌকার এজেন্ট রাশিদা বেগম এবং ৩০৩ নম্বর কক্ষে তানিশা খন্দকার নৌকার পোলিং এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মোর্ত্তজা আহমেদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘মোট ছয়টি কক্ষে প্রত্যেক দলের ছয় জন করে পোলিং এজেন্ট থাকার কথা থাকলেও ধানের শীষের পোলিং এজেন্ট এসেছেন চার জন। অর্থাৎ ধানের শীষের দুই জন পোলিং এজেন্ট আসেননি।
এজেন্ট না আসার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে ধানের শীষের এজেন্ট নূর এ জান্নাত রুমা সারাবাংলাকে বলেন, ‘৩০১ ও ৩০৩ নম্বর কক্ষে ধানের শীষের এজেন্ট কেন আসেনি, তা বলতে পারব না। তবে কাউকে বের করে দেওয়া অথবা ঢুকতে না দেওয়ার মতো ঘটনা এখানে ঘটেনি।
মির্জা আব্বাস মহিলা কলেজে স্থাপিত ৪০ নম্বর কেন্দ্রের ছয়টি বুথের ছয়টিতেই ধানের শীষের এজেন্ট ছিলেন।
তবে পাশেই শাহজাহানপুর রেলওয়ে মডেল স্কুলে স্থাপিত ৩৬ নম্বর কেন্দ্রে পাঁচটি বুথের চারটিতেই ছিল না ধানের শীষের এজেন্ট। এই কেন্দ্রের ১ নম্বর বুথে মো. আক্তার হোসেন, ২ নম্বর বুথে মো. আব্দুর রহিম, ৩ নম্বর বুথে মো. আবু সিদ্দিক, ৪ নম্বর বুথে মো. মাহফুজার রহমান ও ৫ নম্বর বুথে মো. হাসান খান বাবু নৌকার এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আর কেবল মাত্র ৫ নম্বর বুথে মো. আব্দুল করিম ধানের শীষের এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এদিকে, সেগুনবাগিচা হাইস্কুলে স্থাপিত ৩টি কেন্দ্রের ১৪টি বুথের একটিতেও ধানের শীষের এজেন্ট আসেননি। বেলা সাড়ে ১২ টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত এ তিনটি কেন্দ্রে ঘুরে ধানের শীষের কোনো এজেন্ট পাওয়া যায়নি।
সেগুনা বাগিচার হাইস্কুলে স্থাপিত ৯১ নম্বর কেন্দ্রের ১ নম্বর বুথে মো. ইসমাইল হোসেন, ২ নম্বর বুথে জহিরুল ইসলাম, ৩ নম্বর বুথে মাহবুব ইসলাম এবং ৪ নম্বর বুথে মিঠু চাকমা নৌকার এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এখানে ধানের শীষের কোনো এজেন্ট ছিল না।
একই স্কুলে স্থাপিত ৯২ নম্বর কেন্দ্রের চারটি বুথে যথাক্রমে বাবু সবরাথী, সাখাওয়াত হোসেন, শামীম হোসেন এবং শওকত আলী নৌকার এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই কেন্দ্রেও ধানের শীষের কোনো এজেন্ট ছিল না।
জানতে চাইলে ৯২ নম্বর কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মো. এনায়েতুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘সকালে লোক পাঠিয়ে সব দলের এজেন্টকে কেন্দ্রের ভেতরে আসতে বলেছি। ধানের শীষের কোনো এজেন্ট আমরা পাইনি। কাউকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়নি, বেরও করে দেওয়া হয়নি।’
সারাবাংলা/এজেড/জেএএম