আজ থেকে ট্রেনের টিকিটে নাম, ঠিকানা, এনআইডি, মোবাইল ফোন নম্বর
১ জানুয়ারি ২০১৯ ১১:৫৮
।। সাব্বির আহমেদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের ‘সোনার বাংলা’ ট্রেনের অনলাইনে টিকেটের ক্ষেত্রে, বছরের প্রথম দিন থেকেই সংযুক্ত থাকছে যাত্রীর নাম, মোবাইল নাম্বার ও জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর। মঙ্গলবার (১ জানুয়ারি) এ পদ্ধতি কার্যকর হচ্ছে। রেলভবন সারাবাংলাকে তথ্যটি নিশ্চিত করে।
এক্ষেত্রে টিকিট কাটতে হলে যাত্রীকে নাম, মোবাইল নাম্বার, এনআইডি নম্বর অথবা বার্থ-রেজিস্ট্রেশন নম্বর ইনপুট দিতে হবে।
পাইলট প্রকল্পের অংশ হিসেবে সোনার বাংলা ট্রেনের ১৫ ভাগ টিকিটে এই পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। মাস তিনেকের মধ্যে সব ট্রেনে এটি চালু করতে চায় বাংলাদেশ রেলওয়ে।
রেলের অনলাইন টিকিট ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান সিএনএসবিডি জানায়, নাম-ঠিকানা, এনআইডি নম্বর দিলেও প্রিন্ট কপিতে শুধু নাম-ঠিকানা, মোবাইল নম্বর প্রদর্শন করা হবে। তবে ট্রেনের গার্ডের কাছে টিকিটের বিপরীতে এনআইডি আইডি নম্বর থাকবে।
রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব মোফাজ্জল হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সুপারিশ করেছিল টিকিটে নাম-ঠিকানা, এনআইডি নম্বর যোগ করতে। পরে রেল মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেয় যে বর্তমানে টিকিটের যে কাগজ ছাপানো আছে তা শেষ হলে নতুন কাগজে নাম, বয়স, মোবাইল নম্বরে থাকবে। টিকেটের কালোবাজারি রোধে এমনটা করা হচ্ছে জানান রেল সচিব।
রেল মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, পাইলট কার্যক্রমের অংশ হিসেবে শুরুতে শুধু সোনার বাংলা ট্রেনের অনলাইন টিকিটে এটা করা হলো। এরপর সোনার বাংলা এবং সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনের শতভাগ টিকেটেই এসব তথ্য থাকবে। তারপর অনবোর্ড চেকিং সিস্টেম হবে। তখন কোন একটি পরিচয়পত্র সাথে রাখতে হবে।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিরাপত্তাসহ যাত্রী সেবা নিশ্চিত করতে টিকিটের গায়ে যাত্রীর নাম, বয়স এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর জরুরি হয়ে পড়েছিল। আগামী মাস তিনের মধ্যে সব ট্রেনে টিকিটের রং পরিবর্তনসহ নতুন কাগজে নাম, এনআইডি ও বয়সযুক্ত টিকিট পুরোপুরি চালু হবে। ঢাকা থেকে সারা দেশে ৩৩ টি আন্তঃনগর ট্রেন চলে।
প্রতিবেশী দেশ ভারতে টিকিটে নাম লেখা পদ্ধতি চালু রয়েছে। সেখানে যিনি ভ্রমণ করবেন তার নামেই টিকিট সংগ্রহ করতে হয়। অন্যজনের টিকিট দিয়ে ভ্রমণ করার কোনো সুযোগ নেই। ট্রেনে আলাদা চেকিং হয়, গরমিল হলেই যাত্রীদের আটক করা হয়।
সারাবাংলা/এসএ/এনএইচ