Sunday 20 Oct 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ভাঙচুরের পর এবার গাড়িতে আগুন


১ জানুয়ারি ২০১৯ ১৮:২৯

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।

ঢাকা: মালিবাগে দুই গার্মেন্টস শ্রমিক নিহতের ঘটনায় শতাধিক গাড়ি ভাঙচুরের পর এবার শুরু হয়েছে আগুন দেওয়া।  সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত সুপ্রভাত ২টি, অনাবিল ১টি ও প্রচেষ্টার ২টি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন চালক ও হেলপাররা।  এ সময় চালকরা গাড়ি ঘুরিয়ে  বিকল্প পথে বের হয়ে যাচ্ছেন।  আগুনের হাত থেকে গাড়িকে বাঁচাতেই তারা এ কৌশল বেছে নিয়েছেন। মঙ্গলবার (১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা পৌঁনে ৬ টার দিকে মালিবাগ চৌধুরীপাড়া এলাকায় এ অবস্থা দেখা যায়।

বিজ্ঞাপন

নুর মক্কা পরিবহনের চালক মেহেদী বলেন,  ‘আমাদের ৭ টি গাড়ির সব গ্লাস ভেঙেছে, তা পরিবর্তন করা যাবে। কিন্তু যেভাবে আগুন দেওয়া শুরু হয়েছে, তাতে বাসের কিছু থাকবে না। তাই ঝুঁকি নিয়ে পালাচ্ছি।’

সবচেয়ে বেশি গাড়ি ভেঙেছে সুপ্রভাত পরিবহনের। পরিবহনটির অন্তত ৩০ টির মতো গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। নাইম নামে এক চালক বলেন, ‘গাড়ি ভেঙেছে কোনো কারণ ছাড়াই। যে বাস মেরেছে বিচার হলে তার হবে। বাকিগুলো কী দোষ করেছে? এখন আগুন দিচ্ছে তাহলে তো কিছুই থাকবে না।

আরও পড়ুন: বাসচাপায় ২ পোশাক শ্রমিকের মৃত্যু: মালিবাগে বাসে আগুন, ভাঙচুর

কথা বলেন, ‘গ্রিন চাকা পরিবহনের হেলপার জুনায়েদ।’ তিনি বলেন, ‘তাদের ৪ টি গাড়ি ভাঙচুর করেছে শ্রমিকরা।’

প্রচেষ্টা পরিবহনের হেলপার শাকিল বলেন, ‘কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই সামনে দেখি গাড়ি ভাঙচুর করছেন শ্রমিকরা। যাত্রী নামিয়ে দিয়ে গাড়িটা সাইড করলেও রক্ষা হয়নি। তাদের ৯টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।’

গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে রাইদা পরিবহন, তুরাগ পরিবহন, অনাবিল, বলাকা, ভিক্টরসহ অন্যান্য পরিবহনের শতাধিক গাড়ি।

বিজ্ঞাপন

মতিঝিল ও তেজগাঁও বিভাগের পুলিশের সদস্যরা থাকলেও অ্যাকশনে যেতে দেখা যায়নি। পুলিশের ডিসি আনোয়ার হোসেনের দাবি, শ্রমিকদের আমরা বুঝিয়ে সরানোর চেষ্টা করেছি।

বাস শ্রমিকদের দাবি, শুরুতেই আমরা বাস ঘুরিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। তখনও গাড়ি ভাঙচুর শুরু হয়নি। পুলিশ গাড়ি ঘোরাতে দেয়নি। অথচ শতাধিক গাড়ি ভাঙচুর হলো। পুলিশ দাঁড়িয়ে থাকলো। তবে, বাস শ্রমিকদের এ দাবি, অস্বীকার করেছে পুলিশ।

অন্যদিকে, শ্রমিকদের দাবি, বাসচাপায় মৃত্যুর পর শ্রমিকরা বিক্ষোভ করছিলো। এ সময় পুলিশ বাধা দেওয়ায় বিক্ষুব্ধ হয়ে শ্রমিকরা গাড়ি ভাঙচুর শুরু করেন। তবে, শ্রমিকদের এমন দাবি অস্বীকার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, শুরু থেকেই গাড়ি ভাঙচুর করে শ্রমিকরা।

সারাবাংলা/ইউজে/জেএএম

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর